* মোট আমানত গত অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তা দাঁড়িয়েছে ১.৫৫ লক্ষ কোটি টাকায়
* মোট আমানতের মধ্যে খুচরো আমানতের অংশ প্রায় ৬৮ শতাংশ
* ব্যাঙ্কের ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৯.৪ শতাংশে
* মোট প্রদত্ত ঋণ গত অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা
বন্ধন ব্যাঙ্ক ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল ঘোষণা করল। এই সময়ে ব্যাঙ্কের মোট ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ। আর এই লক্ষণীয় বৃদ্ধির ফলে টাকার অঙ্কে এই ব্যবসা বৃদ্ধি পৌঁছেছে ২.৮৮ লক্ষ কোটি টাকায়। একইসঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, ব্যাঙ্কের খুচরো আমানতের পরিমাণ এখন মোট আমানতের প্রায় ৬৮ শতাংশ। পাশাপাশি ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এও জানানো হয়, প্রথম ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের এই ব্যবসায়িক বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ব্যাঙ্কের বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, উন্নত পরিচালন দক্ষতা এবং অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ। এই সময়ে ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা হয়েছে ৩৭২ কোটি টাকা।
এর পাশাপাশি ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এও জানানো হয়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের আমানতের পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। টাকার বিচারে এই বৃদ্ধি ১.৫৫ লক্ষ কোটি। এই সময়ে মোট ঋণের পরিমাণ পৌঁছেছে ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকায়। কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ও সেভিংস অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ কাসার অনুপাত এখন মোট আমানতের ২৭.১ শতাংশ। ব্যাঙ্কের ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও, যা কোনও একটি আর্থিক সংস্থার ক্ষেত্রে তার স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক সেটি বর্তমানে পৌঁছেছে ১৯.৪ শতাংশে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার থেকে উপরে।
ব্যাঙ্কের আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে বলতে গিয়ে ব্যাঙ্কের এমডি ও সিইও পার্থ প্রতিম সেনগুপ্ত জানান, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বন্ধন ব্যাঙ্ক বিগত ত্রৈমাসিকের তুলনায় উন্নত কর্মদক্ষতা প্রদর্শন করেছে। এই উন্নত ক্রমদক্ষতার জেরে আমানতের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে এবং রিটেল ও হোলসেল ব্যাঙ্কিং–এ আমরা ধারাবাহিক গতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’ এর পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, তবুও আমাদের কর্মদক্ষতাই আমাদের ব্যবসার স্থিতিশীলতা এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ দিয়েছে। আমরা এখন বিচক্ষণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধির উপর প্রাধান্য দিচ্ছি এবং আমাদের গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা সৃষ্টির উপর বিশেষভাবে মনোনিবেশ করছি।’ এর পাশাপাশি বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি ও সিইও পার্থ প্রতিম সেনগুপ্তর সংযোজন, ‘বন্ধন ব্যাঙ্ক তার পণ্যের পরিসর আরও বৈচিত্র্যময় করতে সচেষ্ট, যেখানে খুচরো পোর্টফোলিও সম্প্রসারণের উপর কৌশলগত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক এই মুহূর্তে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং–এর অগ্রগতিকে খুবই প্রাধান্য দিচ্ছে , যাতে কার্যকারিতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং গ্রাহকদের ব্যাঙ্কিং অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হয়।’
এর পাশাপাশি বন্ধন ব্যাঙ্ক সম্পর্কে আরও একটি তথ্য না দিলেই নয়, তা হল বর্তমানে বন্ধন ব্যাঙ্ক ভারতের 36টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ৩৫ টিতে ৬,৩৫০–এরও বেশি ব্যাঙ্কিং আউটলেটের মাধ্যমে ৩.১৪ কোটিরও বেশি গ্রাহককে পরিষেবা প্রদান করছে। ব্যাঙ্কে কর্মরত কর্মচারির সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৭২,০০০।