পার্থ রায়
নিউটাউনের অভিজাত আবাসন থেকে উদ্ধার হল বাংলাদেশের সাংসদের দেহ। সূত্রে খবর, ভারতে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। তবে গত পাঁচ দিন ধরে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এই ঘটনা সামনে আসতেই বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করে। পরে বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ করে তারা। এরপর বুধবার সকালে উদ্ধার হয় সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের দেহ। আজিম বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের তিনবারের সাংসদ। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।
যে সব তথ্য বাংলাদেশের এই সাংসদরে সম্পর্কে আপাতত মিলেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, গত ১২ মে কলকাতায় এসেছিলেন আজিম। কলকাতায় স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে এসেছিলেন তিনি। একজন অফিসারের ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন জন। বরানগর এলাকার সিঁথিতে যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন আজিম, তাঁর নাম গোপাল বিশ্বাস। গত ১৩ মে তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভাড়া করা গাড়িতে উঠেছিলেন আজিম। দুপুর ১ টা ৪১ মিনিটে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে এই ১৩ মে-র পর তাঁর পরিবারের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এরপরই সাংসদের মেয়ে বাংলাদেশের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, তারপরই শুরু হয় তদন্ত। সাংসদের মেয়ে বর্তমানে কলকাতাতেই রয়েছেন। এরপর গোপাল বিশ্বাস ১৮ মে বরানগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কারা সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তদন্ত করছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। সঙ্গে রয়েছে আইবি, এসটিএফ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সাংসদ আজিমকে খুন করা হয়েছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলতে নারাজ। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। পরপর তিনবার সাংসদ হন। জানা যায়, বাংলাদেশে আজিমের একটি ব্যবসা আছে। সেই ব্যবসায় প্রচুর টাকা লাভ করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। ভারতের সঙ্গে ব্যবসার সূত্রে যোগাযোগ ছিল তাঁর।