ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে পরিচয়ের পর সরাসরি দেখা করতে এসে সর্বস্ব খুইয়েছিলেন নিউ ব্যারাকপুরের লেলিনগরের বাসিন্দা সুদীপ বোস। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে রমা সাউ নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর রমা সাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক বাংলাদেশি যুবক। ধৃতের নাম এম মাহমুদুল হাসান। এরপরই রমা সাউয়ের সঙ্গে ওই বাংলাদেশি যুবকের সম্পর্ক কী তা নিয়ে তদন্তে নামতেই সামনে আসে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, সুদীপ–সহ একাধিক ব্যক্তিকে এভাবে প্রতারণার পর যে মোবাইলগুলি ছিনতাই করতেন জিয়া, সেগুলি তিনি মাহমুদুলকে বিক্রি করতেন। তাই, মাহমুদুলকে ধরতে জিয়াকে দিয়েই ফাঁদ পাতা হয়। জিয়া মাহমুদুলকে জানান, তিনি একটি ফোন বিক্রি করবেন। সেইমতো বাংলাদেশের রাজশাহীর ওই যুবক দমদম স্টেশনের কাছে আসতেই তাঁকে ধরা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে মাহমুদুল জানিয়েছেন, অনলাইনে পুরনো জিনিস কেনাবেচার একটি সাইটের মাধ্যমে জিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এখনও পর্যন্ত জিয়ার কাছ থেকে তিনি ১০টি মোবাইল কিনেছেন। আর সেই মোবাইলগুলি বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেছেন মাহমুদুল।
মাহমুদুলকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গিয়েছে, ভারতে এসে প্রত্যেকবার আলাদা হোটেলে উঠতেন তিনি। এবার ভারতে আসেন গত ১৫ জুলাই। পার্কস্ট্রিটের একটি অতিথিশালায় উঠেছিলেন তিনি। ওই অতিথিশালার মালিক জানিয়েছেন, অত্যন্ত চুপচাপ থাকতেন মাহমুদুল। কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। সকালে বেরিয়ে যেতেন। রাতে ফিরতেন। কার সঙ্গে কোথায় যোগাযোগ রাখতেন, সেটা তাঁদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।