২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন আসতে আর বেশি দেরি নেই। মাঝে একটা বছরও সময় নেই আর। ফলে রাজনীতির ময়দান দখলে এবার শাসক থেকে বিরোধীরা। এদিকে ভোটার তালিকা নিয়ে উঠছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। কারণ, গুচ্ছ গুচ্ছ বাংলাদেশি ভোটার নাকি রয়েছে এই ভোটার তালিকায়। আর তা নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগও জমা পড়েছে কমিশনে। ২০২৫–এর মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ফরেনারস রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরও) থেকে ২০০টিরও বেশি অভিযোগ এসেছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারটি করে চিঠি পাঠাচ্ছে ফরেনাস রেজিস্ট্রেশন অফিস বাংলাদেশি ভোটারদের নাম সহ। একইসঙ্গে বাংলাদেশি ভোটারদের নাম দেওয়ার পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ভারতীয় ভোটার কার্ড সহ গুচ্ছ নথি।এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর তা চলছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের।
তবে এই বাংলাদেশি ভোটারদের বেশিরভাগ অভিযোগ নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সীমান্ত জেলা ও কলকাতার ঠিকানায়। অন্তত এমনটাই রয়েছে সচিত্র ভোটার কার্ডে। এই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট জেলার ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে পাঠানো হচ্ছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর থেকে। আর যেখানে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সেইসব নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে পুরোদমে।
এই ইস্যুতে গত ৭ মার্চ নির্বাচন কমিশনের অফিসে অভিযোগ জানাতে দেখা যায় বিজেপিকে। তাঁদের অভিযোগে, কোথাও মিলছে না ছবি, কোথাও আবার একই ব্যক্তির নাম দুই জায়গায়। বাংলায় মাটিতে ১৭ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগও জানায় বিজেপি। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন সুকান্ত মজুমদার, শমীক ভট্টাচার্যরা। ভোট দানে বায়োমেট্রিক চালু করার জন্য আবেদনও জানানো হয়েছিল সেখানে। কারণ, বাংলায় ২০২৬–এর বিধানসভা ভোটে ভুয়ো ভোটার মুক্ত ভোটার তালিকার দাবি। আর এই ভুয়ো ভোটার বলতে এর মধ্যে একটা বড়অংশ জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশিরা এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় কারও।