ই-মেলের সূত্র ধরে অযোগ্যদের তালিকা সিবিআইয়ের হাতে

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের হাতে এল এক ই-মেলের কপি। অভিযোগ, কাদের কাদের নম্বর বাড়াতে হবে এই ই-মেলে সেই তালিকাই নায়সাকে মেল করেছিল এসএসসি। কারণ, এই মেলে অযোগ্যদের তালিকা নায়েসাকে মেল করেছিল এসএসসি। সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, এই মেলে একাধিক নামের উল্লেখ রয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসএসসি সার্ভার থেকে সেই মেল খুঁজে পেয়েছে। এদিকে হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৫ হাজারের। এর মধ্যে লক্ষ-লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন এমন অযোগ্যদের সংখ্যা কম নয়।। তা নিয়ে উত্তপ্ত হয় রাজ্য রাজনীতি।মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা। এমনই এক প্রেক্ষিতে সামনে এল বিস্ফোরক এই খবর। 

এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, এসএসসি-র তরফে তিন জনকে ইমেল করা হয়েছিল। প্রথম ইমেল করা হয় নায়েসাকে,ইমেল গিয়েছিল নায়সার কর্তা নিলাদ্রি দাস, নায়েসার প্রাক্তন কর্তা পঙ্কজ বনশল ও নায়েসার এক কর্মী মুজাম্মিল হোসেনকে। এদের কাছে একাধিকবার মেল করা হয় অযোগ্যদের তালিকা। জানা যাচ্ছে, মেলের তদন্তে নেমে সিবিআই-এর নজরে এবার মুজাম্মিল হোসেন। এসএসসি-র সার্ভারে এমন আরও ইমেল থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।

সূত্রের খবর, এই অযোগ্যদের তালিকার উপর ভিত্তি করেই সিবিআই তাদের তলব করতে চলেছে। যদি, প্রমাণিত হয় টাকা বিনিময়ে এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা চাকরি পেয়েছেন তাহলে বেঁচে যেতে পারেন যোগ্যরা। ফলত, অযোগ্যদের তালিকা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + three =