মদের আসর বসানোর প্রতিবাদে মারধর বাঘাযতীনে

প্রকাশ্যে মদের আসর বসানোর প্রতিবাদ করায় আক্রমণের মুখে পড়তে হল প্রতিবাদীদের। করা হয মারধরও, এমনটাই অভিযোগ। পাশাপাশি তাণ্ডব চালানো হয় একটি ক্লাবেও। মারধর করা হয় ক্লাবের সদস্যদের। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হলো, অভিজিৎ কুণ্ডু, অতনু কুণ্ডু ও শুভজিৎ মালাকার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১টা নাগাদ বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর পল্লির রুদ্রাক্ষ এভারগ্রিন ক্লাবে হামলা চালায় জনা পঞ্চাশেক দুষ্কৃতী। লাঠি-রড দিয়ে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ক্লাব সদস্যদের।সূত্রে খবর, ক্লাবের জনা বারো সদস্য এই ঘটনায় জখম হয়েছেন।
এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় এক প্রোমোটারের দিকেই। তারই নেতৃত্বে এই হামলা চলে বলে জানানো হয়েছে। এলাকায় মদের আসর বসানোর প্রতিবাদ করার জন্যই হামলা চালানো হয়।
ক্লাবের সদস্যদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘প্রোমোটার রিন্টু ও তার দলবল রাস্তায় দাঁড়িয়ে মদ খাচ্ছিল। স্থানীয় কয়েকজন মহিলা ওই রাস্তা দিয়ে গেলে মাঝেমধ্যে ওরা কটূক্তিও করে। এই ধরনের ঘটনা যাতে না-ঘটে সেজন্য আমি প্রতিবাদ করি। শুক্রবার রাতেই এর জন্য রিন্টু হুমকি দেয় তন্ময়কে ফোনে। এরপর শনিবার রাত একটা-দেড়টা নাগাদ রিন্টু দলবল নিয়ে এসে চড়াও হয় ক্লাবে।’ তন্ময়-সহ অন্যদের মারধর করা হয়। রড, বাঁশ, লাঠি নিয়ে ভাঙচুর চলে। রাতেই নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
বিশ্বজিৎ সাহা নামে আর এক জখম ব্যক্তির কথায়, ‘যে সামনে আসছিল, তাকেই মারছিল রিন্টুরা। জনা পঞ্চাশেক লোক ছিল ওই দলে।’ বোতল ভেঙে হাত কেটে যায় বিশ্বজিতের। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ঘটনা সময়ে পুলিশের ১০০ ডায়ালে ফোন করেও লাভ হয়নি।
এলাকার কয়েকজন মহিলারা জানান, এই হামলাকারীদের অনেকেই প্রকাশ্যে মদ্যপান করে, তাঁদের লক্ষ্য করে কটূক্তিও করে। বারবার এর প্রতিবাদ জানিয়েও ফল হয়নি।শনিবার রাতে ঘটনার পরে রবিরার স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, কাউন্সিলাররা ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের কাছেও স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − five =