অলোকেশ ভট্টাচার্য
শেষ তথা সপ্তম দফা লোকসভা ভোটের আগে ফের রাজ্যের পুলিশ মহলে রদবদল। মঙ্গলবার তিন পুলিশ আধিকারিকে বদলির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সঙ্গে এও জানানো হয়, মঙ্গলবার বেলা তিনটের মধ্যে নতুন নাম পাঠানোর জন্য। মঙ্গলবার কমিশনের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় তাতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে। কারণ, এই কেন্দ্র এমনিতেই স্পর্শকাতর। সন্দেশখালি ইস্যুতে এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ উঠেছিল। তাই ১ জুন, এখনে ভোটের আগে মিনাখাঁর এসডিপিও এবং সুন্দরবনের এসপি-কে ভোটের কাজ থেকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। সেই কারণেই সেখানকার দুই পুলিশ আধিকারিককেই সরানো হল ভোটের কাজ থেকে। তাঁদের বদলি হিসেবে নতুনদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শনিবার, সপ্তম দফা ভোটে তাঁরাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার নিচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার যে ৯টি কেন্দ্রে আগামী শনিবার, শেষ দফায় ভোট, তার মধ্যে দুই লোকসভা আসনের অন্তর্গত পুলিশ অফিসারদের বদলি করা হল। বদলির তালিকায় রয়েছেন সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নলবথ, বসিরহাট পুলিশ জেলার অন্তর্গত মিনাখাঁর এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান এবং রহড়া থানার আইসি দেবাশিস সরকার। রহড়ায় থানায় তাঁর বদলে আনা হয়েছে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের ইন্সপেক্টর ঋগবেদ সাহাকে। অন্যদিকে সুন্দরবনের নতুন এসপি আইপিএস সন্দীপ কাড়া। এসডিপিও মিনাখাঁ হলেন অমিতাভ কোনার।
এর আগে প্রত্যেক দফা ভোটের আগেই কমিশনের তরফে কোনও না কোনও পুলিশ অফিসারকে ভোটের কাজ থেকে সরানো হয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপত্তিও জানিয়েছিলেন। একাধিক সভায় এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণ বলে অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এরপরও সপ্তম তথা শেষ দফাতেও সেই একইভাবে পুলিশ আধিকারিকদের বদলি করল কমিশন। আর এ বিষয়ে তাদের বিশেষ নজরে বসিরহাট কেন্দ্রটি।