প্রথম দফায় বিজেপি ১৯৫ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছিল লোকসভা নির্বাচনের জন্য। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে আরও ৭২ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে বাংলার কোনও প্রার্থীর নাম ছিল না। দিল্লি বিজেপি সূত্রের খবর তৃতীয় বা নতুন প্রার্থী তালিকা তৈরির প্রস্তুতি জোর কদমে চলছি দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে।
সূত্রে খবর, সেই তালিকায় নাম থাকবে পারে বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের। এদিকে এই রাজ্যের প্রথম দফায় ২০ জনের নাম ঘিষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে আসানসোলের প্রার্থী ভোজপুরি গায়ক পবন সিং-এর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নাম প্রত্যাহার করে নেন। সেই কারণে নতুন প্রার্থী তালিকায় বাংলার ২৩ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার বৈঠকও করেছেন। বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। যা নিয়ে বিজেপিতে জল্পনা তুঙ্গে। অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম থেকে মেদিনীপুরে ভোটার হয়েছেন দিলীপ। মনে করা হচ্ছে তাঁকে মেদিনীপুরের প্রার্থী করা হতে পারে। তবে এই নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
অন্যদিকে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলের তাপস রায় ও বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু প্রার্থী হিসেবে তাদের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। যা নিয়ে দলের মধ্যেও চাপ বাড়ছে। কারণ প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস একই দিনে রাজ্যের ৪২ টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, সোমবার দিল্লিতে রাজ্যের ২৩ আসনের প্রার্থীদের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আগামিকাল আরও একটি বৈঠক হতে পারে। তারপরই প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হতে পারে।তবে দলের একনিষ্ঠ কর্মী দিলীপ ইতিমধ্যেই নাম ছাড়াই মেদিনীপুর এলাকায় দেওয়া লিখন শুরু করে দিয়েছে।
তবে সবথেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে কবে প্রকাশিত হবে বিজেপির নতুন প্রার্থী তালিকা। বিজেপির বর্তমান রাজ্যসভাপতির কথায় বিজেপির নতুন প্রার্থী তালিকা প্রাকাশিত হতে পারে ২২-২৩ মার্চের মধ্যে। তিনি প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ব়্যাম্পে হেঁটে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা যায় না। তাঁর দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আর সেই জন্য নির্বাচনী কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেই চূড়ান্ত করেন প্রার্থী তালিকা।