ফের অশান্ত ভাঙড়, তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে চলল গুলি

ফের ভাঙড়ে চলল গুলি-বোমা। গুলিতে আহত তৃণমূলের প্রার্থী হাতেম মোল্লা। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতেও ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। উভয় ঘটনাতেই অভিযোগ আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে আইএসএফ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন হাতেম মোল্লা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলায় আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। হাতেমের ডান কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় গুলি। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জিরেনগাছা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় হাতমকে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করেও ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের গোটা পর্বে অশান্ত থেকেছে ভাঙড়, যা এখনও অব্যাহত। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অশান্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশকিছুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এদিকে ১৪৪ ধারা জারি থাকার জন্য ভাঙড়ে প্রবেশ করতে পারছেন না এলাকার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার নওশাদ সিদ্দিকি বলেন,’১৪৪ ধারার অজুহাতে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে, আটকে রাখতে পারবে না। ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে সেখানে যাওয়ার ছাড়পত্র পাব।’ নওশাদ আরও বলেন,’যেভাব আটকানো হচ্ছে রাজ্যপাল,মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে,এরপর প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হব।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন,
‘ভাঙড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা আমার সর্বপ্রথম লক্ষ্য। ভাঙড়ের মানুষকে যে ভাবে অশান্তির মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে সেটাকে প্রতিহত করে,সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন যাতে ভাঙড়বাসী করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছি আমি।’ এরই পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা শান্ত ভাঙড়বাসীকে অশান্তির মধ্যে রেখেছে, আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে, যারা ভাঙড়কে রাজনৈতিক উত্তাপের শিরোনামে নিয়ে গিয়েছে, সেই সমস্ত রাজনীতির কারবারীদের ঘুমোতে দেব না।’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে ভাঙরের বিজয়গঞ্জ বাজারে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় বেশ কিছু আইএফএফ সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ৩৪ দিন পর তাঁদের জামিন মঞ্জুর হয়। মঙ্গলবার রাতে বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে ১২ জন আইএসএফ সমর্থককে জামিনে মুক্ত করা হয়। সংশোধনাগারের বাইরে তাঁদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত হন নওশাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 2 =