মাত্র দেড় বছরের মেয়েকে রাস্তার ধারে বসিয়ে কাজ করছিলেন বাবা। কিছুক্ষণ পরই মেয়ে এক্কেবারে ভ্যানিশ। কোথায় যেতে পারে দেড় বছরের ওই শিশুকন্যা তা বুঝে উঠতে না পেরে পুলিশের শরনাপন্ন হন। অভিযোগ পেয়েই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখল পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা হয় শিশুকন্যাকে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ এলাকায়। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম প্রবীর বৈরাগী।
পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকালে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনের সামনে কাজ করছিলেন পেশায় শ্রমিক কার্তিক বাগ। তাঁর বাড়ি ইলেকট্রনিকস কমপ্লেক্স থানার নয়াপট্টি এলাকায়। রাস্তার ধারে দেড় বছরের মেয়েকে বসিয়ে রেখে কাজ করছিলেন তিনি। সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ তিনি খেয়াল করেন, তাঁর মেয়ে সেখানে নেই। দেড় বছরের মেয়ে কোথায় যেতে পারে তা বুঝে উঠতে পারছি না বাগ পরিবারের সদস্যরাও। এরপরই মেয়েকে খুঁজে পেতে বিধাননগর পূর্ব থানায় শরণাপন্ন হন।
অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। পুলিশের কাছে থাকা তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়। এরপরই বিধাননগর দক্ষিণ থানার সুকান্তনগরে হানা দেয় পুলিশ। সেখানেই একটি বাড়ি থেকে শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়। তবে সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না অভিযুক্ত। পরে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর পঁচিশের প্রবীর আগে নয়াপট্টিতেই থাকতেন। তারপর সুকান্তনগরে চলে আসেন। ওই শিশুকন্যার বাবা-মাকে দীর্ঘদিন ধরেই চেনেন অভিযুক্ত। তবে কেন তিনি শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে চলে আসেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, শিশুকন্যাকে বাবা-মার কাছে ফেরত দেওয়ার যে কোনও ভাবনা অভিযুক্তের ছিল না তা স্পষ্ট। আর সেই কারণেই ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।