নয়া এক সমস্যার মুখে নেট-নাগরিকেরা। ভিডিও কলে হঠাৎ-ই কোনও মহিলার তরফ থেকে ভিডিও কলের প্রস্তাব আসছে। আর এই প্রস্তাবে রাজি হলে অনেককেই সম্মুক্ষীন হতে হচ্ছে এক অস্বস্তিকর ঘটনার। নিরভারণ মহিলা হাজির হচ্ছেন মোবাইলের পর্দায়। সঙ্গে চলছে পুরো ঘটনার রেকর্ডিং। আর এই রেকর্ডিং সর্বসমক্ষে আনার নামে চলছে ব্ল্যাকমেলিং। গত বেশসকয়েক মাস ধরে শহরের নানা জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে এমনই ঘটনার। যাকে আইনি ভাষায় বলা হচ্ছে সেক্সটরশন। এই সেক্সটরশন চক্রের তল্লাশি চালাতে গিয়ে এক বড় চক্রের হদিশ পেল বিধাননগর পুলিশ। রাজারহাটের এক বিলাসবহুল বাড়ি থেকে এমনই এক চক্র চালানো হত বলে বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর। একইসঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেটের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, শুক্রবার সেই বাড়িতেই তল্লাশি চালাতে যায় পুলিশ। রাজারহাটের বসিনা মানিকতলায় রয়েছে ওই বাড়ি। শুক্রবার রাত পর্যন্ত বিধান নগর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী এই তল্লাশি চালায়। উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন তল্লাশিতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্রের কাজ ছিল, বিভিন্ন মানুষকে ভিডিয়ো কল করা। তাদের সঙ্গে অশালীন অবস্থায় কথা বলা। তারপর সেই ভিডিয়ো কলের ‘স্ক্রিন শট’ তুলে তাকে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল করা। এমন কিছু অভিযোগের সূত্র ধরেই সেই চক্রের হদিশ পায় পুলিশ। সেই সূত্রেই শুক্রবার তল্লাশি চালানো হয়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিলাসবহুল ওই বাড়িতে ভিডিয়ো কলের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা ছিল। নিচের তলায় ছিল বিশেষ আলোক সজ্জা বিশিষ্ট ঘর, দ্বিতীয় তলে ছিল থাকার ব্যবস্থা। আর তিনতলায় বসে ভিডিয়ো কল করা হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
ওই চক্রের মূল পাণ্ডাকে ধরতে তৎপর পুলিশ। সূত্রের খবর তল্লাশি চালিয়ে রাতেই প্রচুর হার্ড ডিস্ক সহ বিভিন্ন নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পুরো ঘটনায় হতভম্ব এলাকার বাসিন্দারাও। ওই বাড়িটিতে যে কী কাজকর্ম চলছে তা জানতে পারেননি স্থানীয়রাও। তবে অনেক মহিলার যে যাতায়াত ছিল, সে কথা জানিয়েছেন তাঁরা। এক বাসিন্দা বলেন, ‘কেউ বলেন এই বাড়িতে ভাড়াটে আছে, কেউ বলেন কারখানা চলে, দিনে-রাতে লোক আসা-যাওয়া করত। মহিলাও আসত অনেক। আমরা ভাবতাম ভাড়াটে। ভিতরে কী হত জানতাম না।’