মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই অ্যাকশনে বিধাননগর পুলিশ

বিধাননগর পুরনিগমের পরিষেবা নিয়ে সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই বিধাননগরে অ্যাকশনে পুলিশ। এরপরই মঙ্গলবার ভরা অফিস আওয়ার্সে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে অভিযান চলে। বিধাননগর ইলেক্ট্রনিক্স থানার পুলিশের একটা টিম পৌঁছে যান। কলেজ মোড় থেকে গোদরেজ ওয়াটার সাইড পর্যন্ত অভিযান চলে। রাস্তার ধারের গুমটি দোকানগুলোকে গিয়ে পুলিশ কর্তারা নির্দেশ দেন, দ্রুত দোকান সরিয়ে নিতে হবে। না হলে নির্দিষ্ট সময়ের পর দোকান উচ্ছেদ করা হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সল্টলেকের অবস্থা দেখে আমার লজ্জা লাগছে। রাজারহাটে একই অবস্থা। সুজিত বোসের লোক বসাচ্ছে, প্রতিযোগিতা করে।’ সঙ্গে এও প্রশ্ন করেন, ‘এর জন্য কত টাকা দিতে হচ্ছে? একটা করে ত্রিপল লাগাচ্ছে বসে পড়ছে, হোয়াই? কেন সল্টলেকের কাউন্সিলররা কাজ করেন না, তাঁরা তো ইলেক্টেড বডি?’ এর পাশাপাশি সল্টলেকের ফুটপাতের ধারের দোকান নিয়ে মারাত্মক বিরক্তি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার কথা কিছুটা তিক্ত লাগবে। কিন্তু আমি বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছি গোটা বিষয়টা। কোথাও কোন এনক্রোচমেন্ট হলে, সঙ্গে সঙ্গে কেন অ্যাকশন নিচ্ছি না? কেউ টাকা খেয়ে, কেউ টাকা খেয়ে কাজ করছে।’

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরই সেক্টর ফাইভে উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ। তবে দোকানের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা অফিস পাড়ার ব্যবসা করছেন। এটাই তাঁদের রুজি রুটি। কিন্তু এখন তাঁরা কোথায় যাবেন? বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেই। তা না হলে তাঁদের পেটের ভাতেরই সমস্যা হবে। কিন্তু কাদের অনুমতিতে তাঁরা ফুটপাত দখল করে দোকানদারি করছেন? প্রশ্ন করেন পুলিশ কর্তারা। সে উত্তরে কেউই সঠিকভাবে দেননি ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘পার্টির লোকজন না ধরলে তো এসব দোকান করা যায় না। এখন ওপর থেকে চাপ এসেছে।’ এর অপর এক ব্যবসায়ী বেশ হতাশ হয়ে জানান, ‘এই বয়সে আর কোথায় যাব, ঘরে বৃদ্ধ বাবা-মা, বউ, সন্তান সব রয়েছে, এখন না খেয়ে মরতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × three =