আরজি করের মতো সরকারি হাসপাতালে টেন্ডার পাওয়ার জন্য একটি চক্র তৈরি হয়েছিল এই তথ্য় সামনে এসেছে নানা ঘটনার তদন্তে নেমে। আর এই চক্রের অন্য়তম সদস্য় ছিলেন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ, বিপ্লব সিং-সহ প্রত্যেকেই। চক্রটি টেন্ডার ‘ম্যানুপুলেট’ করতো বলেও অভিযোগ সিবিআইয়ের। এদিকে সোমবার দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বিপ্লব সিংয়ের জামিনের মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। এদিন এই সূত্র ধরেই বিপ্লবের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই জানায়, সন্দীপ ‘ঘনিষ্ট’ ব্যবসায়ী বিপ্লব ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’-এর সঙ্গে যুক্ত।
এর পাশাপাশি আদালতে এদিন সিবিআই এও জানায়, আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রমাণ, নথি জোগাড় করা গিয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, বিপ্লব মোট ১৫টি হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করত। এর মধ্যে ১৪টি রাজ্যের হাসপাতালে এবং ১টি ওডিশার।
জামিনের আবেদন করে বিপ্লবের আইনজীবী এদিন জানান, সিবিআইয়ের তদন্ত শেষের পথে। এখন জামিন না দেওয়ার কোনও মানে নেই। পাল্টা সিবিআইয়ের দাবি, বিপ্লবকে জামিন দিলে তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। তদন্ত এই মুহূর্তে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ অবস্থানে রয়েছে। জেলে গিয়েও জেরা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, ২৯ নভেম্বর আরজি কর দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সন্দীপ ছাড়াও এই মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে সন্দীপের ‘ঘনিষ্ট’ প্রোমোটার বিপ্লব সিং-সহ আফসার আলি, সুমন হাজরা ও আশিস পাণ্ডের। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে।