আপাতত ঘুচল কাকা-ভাইপো দূরত্ব। প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে চিরাগ পাসওয়ানকে দেখা গেল তাঁর কাকা পশুপতি পরসের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে। ভাইপোর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেন পরসও। সঙ্গে সঙ্গে বুকে টেনে নেন ভাইপো চিরাগকে। চিরাগ পাসওয়ানকে দেখে জড়িয়ে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ক্ষমতা প্রদর্শনে বৈঠকে বসে শাসক এনডিএ-ও। বিজেপির নেতৃত্বে দিল্লিতে আয়োজিত এই বৈঠকে সামিল হয়েছিল ছোট-বড় ৩৯টি দল। তবে এনডিএ জোটে অন্যতম মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠছিল বিহারের লোক জনশক্তি পার্টি। কাকা-ভাইপোর ঝগড়া নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্যা হয়ে উঠছে পারে,এমনটাই আশঙ্কা করছিল বিজেপি। তবে মঙ্গলবারের বৈঠকে দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য চিত্র।
তবে বিহারের এই কাকা-ভাইপোর লড়াই দীর্ঘদিনের। রামবিলাস পাসওয়ান দলের দায়িত্ব ছেলে চিরাগের হাতে তুলে দেওয়ার পর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন পশুপতি পরস। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মৃত্যুর পর সেই বিরোধ চরমে ওঠে। এদিকে কাকার বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তোলেন চিরাগ। সঙ্গে সঙ্গে ভাইপোর সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করেন পশুপতি পরসও। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ পেলেও দুই শিবিরে ভাগ হয়ে যায় বিহারের অন্যতম শক্তিশালী দল। এদিকে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই বিজেপি চাইছিল লোক জনশক্তি পার্টির দুই শিবির এক হয়ে যাক। কিন্তু পশুপতি পরস সাফ জানিয়েছেন, ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগার নয়। এদিকে তার ৭২ ঘণ্টা পরেই এনডিএ জোটের বৈঠকে দেখা গেল সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র।
যদিও বর্তমানে বিহারের হাজিপুরের যে আসন নিয়ে কাকা-ভাইপোর মধ্যে বিরোধ চরমে,তাতে নিজের দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছেন চিরাগ। হাজিপুরের আসন ও তা নিয়ে কাকার সঙ্গে লড়াইয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’হাজিপুর আমার বাবার আসন ছিল। রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে হিসাবে আমার কর্তব্য বাবার যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করা।’