নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ

কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ২১-এর শহিদ মঞ্চেই যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। এ নিয়ে নানা জল্পনাও ছড়ায়। তবে তার পেছনে কারণও রয়েছে একাধিক। প্রথমত ভোটে বিজেপির টিকিটে জিতলেও তিনি প্রথম থেকে এমন কিছু কথা বলছেন, যা দলের অস্বস্তি বৃদ্ধির পক্ষে যথেষ্ট। এমনকী বঙ্গবিজেপির নেতৃত্ব সম্পর্কেও তিনি নানা কথা বলছেন। সেই সঙ্গেই তিনি মন্ত্রিত্ব দাবি করেছিলেন। সেই দাবি পূরণ হয়নি। সেক্ষেত্রে তার পর থেকেই তিনি কিছুটা হলেও অভিমানী। আর এই পরিস্থিতিতে জল্পনা ছড়িয়েছিল তাঁকে ঘিরে।

কিন্তু ২১ জুলাইয়ের আগের রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য জানিয়ে দেন সৌমিত্র। বিষ্ণুপুরের সাংসদ ফেসবুকে ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘সৌমিত্র খাঁ যেখানে আছে, সেখানেই থাকবে। যাঁরা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই সত্য খবর পরিবেশন করুন। এটা শুনতে লজ্জা লাগে যে মিডিয়ার কিছু কিছু চ্যানেল, যাঁরা নিজেদের টিআরপি বাড়ানোর জন্যে সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে খবর করছেন, এটা খুব খারাপ।’

সৌমিত্রের সংযোজন, ‘আমি ভীষণ ভাবে মিডিয়ার বন্ধুদের সম্মান করি। যাঁদের কথায় এই খবর করা হচ্ছে, বা যাঁরা বলছেন যে সৌমিত্র খাঁ তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যাবে, তাঁদের বলি সৌমিত্র খাঁ লড়তে জানে। নরেন্দ্র মোদির প্রতি বিশ্বাস আমার রয়েছে। অমিত শাহজির পারদর্শিতা, হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতো বড় ভাই, সুনীল বনসলের মতো মানুষকে এখানে পেয়েছি। সেখানে দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমার রাজ্যের সমস্ত নেতৃত্বরা একসঙ্গে আছে। আমার সমস্ত সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি তাই অনুরোধ, প্রোপাগান্ডা ছড়াবেন না। আপনারা আমার সঙ্গে দেখা না করে কথা না বলে এই সব খবর ছড়াবেন না।’

তবে, হঠাৎ কেন ফেসবুক লাইভে এসে এমন কথা বলতে হল সৌমিত্রকে তার জন্যসৌমিত্রর সাম্প্রতিক একাধিক মন্তব্যকেই দায়ী করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। ওই মহলের মতে, নির্বাচনে জয়লাভ করার পরেই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালভরা প্রশংসা শোনা গিয়েছিল সৌমিত্র খাঁর গলায়। একইসঙ্গে নিজের দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে যাবতীয় জল্পনা। তবে, তিনি যে তৃণমূলে যাচ্ছেন না, তা এবার স্পষ্ট করে দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 6 =