রাত পোহালেই গণনা। এক্সিট পোল সামনে আসার পর থেকে টেনশনে সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই। কারণ, কেউ বলছেন এই এক্সিট পোল মানি না, আবার কেউ মনে করছেন তাঁরা জয়ের থেকে কয়েক পা দূরে দাঁড়িয়ে। ফলে জয়ের পর আবির খেলার পাশাপাশি মিষ্টিমুখের তোড়জোড় শুরু হয়েছে নির্বাচনের শেষ দফার পরই। এদিকে চাপা বেড়েছে মিষ্টির দোকানে। কারণ, সেখানে এসে জমা হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে তাদের প্রতীকে বানানো মিষ্টির অর্ডার। ইভিএম খুলে ভোট গণনার আগেই টক্কর শুরু হয়েছে মিষ্টির অর্ডারে। সেখানেও মূল লড়াইতে রয়েছে তৃণমূল আর বিজেপিই। দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী মোড়ে দীর্ঘদিনের নলিন চন্দ্র দাস এন্ড সন্স এর ম্যানেজার উৎপল মণ্ডল জানান, পয়লা জুন শেষ দফা ভোট মিটতেই রাশি রাশি অর্ডার ঢুকছে যা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে। শেষ মুহূর্তে গেম কোনদিকে সুইং করবে সেই উত্তর এখনও ইভিএম বন্দি। তাই আপাতত দেড়শো গ্রাম ছানার একেকটা বড় সাইজের সন্দেশ লোগো বা প্রতীক ছাড়াই রেডি করে রাখা হচ্ছে। একেবারে শেষ মুহূর্তে যে দলের কাছ থেকে অর্ডার আসবে, সেই দলের প্রতীক চিহ্ন বসিয়ে দেওয়া হবে সন্দেশের গায়ে। নাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। আর মিষ্টি বানানোর কারিগর বিশ্বজিৎ দাস জানান বিভিন্ন ফ্লেভার দিয়ে বানানো হচ্ছে এই মিষ্টি। যার মধ্যে থেকে অন্যতম পছন্দের চকলেট ফ্লেভার। চকলেট ফ্লেভার দিয়ে বানানো হচ্ছে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের প্রতীকের মিষ্টি।
দোকানে আসা সাধারণ ক্রেতাদেরও নজর কাড়ছে এই মিষ্টি। বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থক ছাড়াও সাধারণ আম জনতা কিনে নিয়ে যাচ্ছে এই মিষ্টি। প্রতিটা মিষ্টির দাম রাখা হয়েছে ৯০ টাকা। তবে এবারের বাড়তি আকর্ষণ চকোলেট বোম। ভোটে মোটের ওপর এবার শান্তিপূর্ণ হয়েছে ঠিকই কিন্তু বিজয় উৎসবে একটু বোমের আওয়াজ পাওয়া যাবে না তা কি হয়! তবে শব্দদূষণের জন্য চকোলেট বোম ফাটানো বন্ধ হলেও মিষ্টি চকোলেট বোমে তো আর বিধিনিষেধ নেই। আর শব্দবাজির জায়গা দখল করতে তাই বানানো হয়েছে চকোলেট চিপস দিয়ে তৈরি অনেকটা হাত বোমার অর্ধেক সাইজের এক মিষ্টি। খুব সুস্বাদু। যারা রাজনীতির রঙ দেখেন না, ভোট উৎসবে তাঁদের জন্যও থাকছে এই রকমারি আয়োজন।