বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিল দিয়ছে বিজেপি। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই ঘোষণা করতে দেখা যায় সুকান্তকে। একইসঙ্গে পুলিশি ‘আক্রমণের’ বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সুকান্তর প্রশ্ন, ‘পুলিশ কেন শান্তিপূর্ণ, নিরস্ত্র মানুষের উপর লাঠিচার্জ করল? কেন মহিলাদের মারা হল? কেমিক্যাল মেশানো জল দিয়ে স্প্রে করা হয়েছে। বাংলায় জন্ম নিয়ে কি ছাত্র- ছাত্রীরা অপরাধ করেছে? পুলিশ মদ্যপ অবস্থায় এক মহিলার মাথায় লাঠির আঘাত করছে।’
এদিকে বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ রয়েছে। সেই সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা। সেদিনই বিজেপি বাংলা বনধের ডাক দেওয়ায় বুধবারও বড় অশান্তির আশঙ্কা থাকছে।
তবে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তোপ দাগেন বামেদের বিরুদ্ধেও। তোলেন সেটিং তত্ত্ব! বলেন, ‘গত পরশু থেকে বামেরা নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। বলেছে এটা রামের আন্দোলন। বামপন্থীরা তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং রাজনীতি করছে।’ এই প্রেক্ষিতে বিজে রাজ্য সভাপতির স্পষ্ট দাবি, ‘বিজেপির ঘোষিত আন্দোলন নয়, বিজেপির ঘোষিত আন্দোলন হলে কী হবে তা বলার অপেক্ষা নেই! কালকের জন্য অপেক্ষা করুন।’ প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই হাওড়া ব্রিজ, হাওড়া ময়দান এলাকা পুলিশ জনতা খণ্ড যুদ্ধে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশও। লাঠিচার্জও হয় দিকে দিকে। রাজপথে রণক্ষেত্র। পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে একেবারে নবান্নের দোড়গোড়াতেও পৌঁছে গেল আন্দোলনকারীরা। যদিও পাল্টা অ্য়াকশনে নামতে দেখা যায় পুলিশকেও। মাথা যেমন পুলিশের ফেটেছে তেমন আন্দোলনকারীরাও তাঁদের উপর বেনজির আক্রমণের অভিযোগ তুলেছে। এরইমধ্যে এবার বিজেপির বাংলা বনধ নিয়ে তুমুল চাপানউতোর শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।