তিলোত্তমাকে ন্যায় দিতে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে শুরু হচ্ছে এই ধরনা কর্মসূচি। এর আগে শ্যামবাজারে পাঁচ দিনের কর্মসূচি ছিল পদ্মশিবিরের। এরপর ফের বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল আরও বড় কর্মসূচির প্রস্তুতি। বঙ্গ স্যাফ্রন ব্রিগেড সূত্রে খবর, বুধবার রাত থেকেই এই মঞ্চ বাধার কাজ শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় বাধা দেয় পুলিশ। তবে ফের বৃহস্পতিবার সকাল হতেই ফের ডোরিনা ক্রসিংয়েই চলছে মঞ্চ বাধার কাজ।
বস্তুত, গত মঙ্গলবার আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ ব্যানারে পথে নেমেছিল হাজার-হাজার জনতা। নবান্ন অভিযানে র ডাক দিয়েছিল তারা। আর সেই অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। বিশেষ করে সাঁতরাগাছি-হাওড়া ময়দান-হাওড়া স্টেশন চত্বরের পরিস্থিতি হয়ে ওঠে উত্তপ্ত। পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, আহত হয় অনেকেই।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার আবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট ডাকে বিজেপি। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বনধকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়। ফলে সব তৎপর রাখতে ময়দানে কোমর বেঁধে নামে পুলিশ প্রশাসনও। রাজ্যজুড়ে বনধের সমর্থনে আটক হন সজল ঘোষ থেকে শুরু করে রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পালরা। এরপর আজ থেকে আবার বড় কর্মসূচি শুরু করল বিজেপি। আদালতের অনুমতি নিয়েই এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন তারা। এর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে রাজ্য মহিলা কমিশনের দফতরে তালা ঝোলানোর ডাকও দেওয়া হয়েছে। এদিনের এই কর্মসূচিতে দলের সব মহিলা বিধায়ক এবং প্রাক্তন মহিলা সাংসদদের হাজির থাকতে বলা হয়।