কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নন্দীগ্রামের জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা। কারণ, পুলিশের নিরাপত্তার উপর বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা ভরসা করতে পারছেন না বলে জানানো হয়েছে। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
এদিকে আবার পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে তাঁদের লাগাতার হুমকি, মিথ্যা মামলার চোখ রাঙানির সামনে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানাতে শোনা যায় বিরোধীদের। নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের ১৭ টি পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থীরা যাতে বোর্ড গঠনে হাজির থাকতে না পারেন তাই কাউকে পুরনো মামলায় পুলিশ তলব করছে আবার কোথাও রাজ্যের শাসক দল জয়ীদের নিজেদের এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না, এমনটাই অভিযোগ। এই অভিযোগ শোনার পরই মামলা গ্রহণ করে আদালত। এদিকে বুধবার নন্দীগ্রামে একাধিক পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হওয়ার কথা রয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি রয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। শুধু নন্দীগ্রাম-ই নয়, রানাঘাট ১ ব্লক, হবিবপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলায় একইভাবে বোর্ড গঠনে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস আবার কোথাও নির্দল জয়ী প্রার্থীকে বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়া ঠেকাতে দুষ্কৃতীরা বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় পুলিশ নিরাপত্তায় বোর্ড গঠন, আবার কোথাও বোর্ড গঠনে পর্যাপ্ত পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিতে মামলার আবেদন গ্রহণ করে আদালত। প্রসঙ্গত, এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল বিধায়ক, জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষরা কয়েকদিন আগেই উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানান হয়। র পাশাপাশি নন্দীগ্রামের একাধিক বিজেপি নেতাকে ভোটের আগে থেকেই আদালতের রক্ষাকবচ দেওয়া নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রক্ষাকবচ থাকার কারণেই অনেক বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলে দাবি করেন অভিষেক। এবার পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে পাল্টে গেল এই ছবিটা।