সপ্তম দফার দুই প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে অভিযোগ তুলল বিজেপি। একজন তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী মালা রায় ও অপরজন বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম। তাঁদের মনোনয়নে চূড়ান্ত গলদ রয়েছে। আইন মেনে হয়নি বলেই দাবি করছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। এই দু’জনের মনোনয়ন বাতিলের আবেদনও জানিয়েছেন বিজেপি।
বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন হাজি নুরুল ইসলাম মনোনয়ন দাখিল করেছেন গত ৭ মে। সরকারের ঘরে যে তাঁর কোনও বকেয়া নেই সেটা জানাতে হয় হলফনামায়। এদিকে ২০১৪ সালের ১৮ মে পর্যন্ত তিনি ছিলেন সাংসদ। সে ক্ষেত্রে ২০২৪-এর ১৮ মে দশ বছর পূর্ণ হলে নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা করতে হয় না। কিন্তু তার আগেই গত ৭ মে মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি। সেখানে নো-ডিউ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার কথা। এই সূত্রেই ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র নির্বাচন কমিশনের কাছে হাজি নুরুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান। বিজেপি এই প্রসঙ্গে এও উল্লেখ করে যে, এই নো-ডিউ সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ার জন্য তাদের বীরভূমের প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়নও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাই হাজি নুরুলের ক্ষেত্রে হবে না কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
এদিকে আবার দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী মালা রায় বর্তমানে কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন পদে রয়েছেন। পুরনো আইন অনুযায়ী অফিস অব প্রফিট কলকাতা পুরসভার অফিস। তাই বিজেপির অভিযোগ, তিনি সেখান থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়ন জমা দিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছেন। আর সেই কারণেই দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী মালা রায়ের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
মালা রায়ের দাবি, এই অভিযোগ মিথ্যা। চক্রান্ত করা হচ্ছে, প্রার্থীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ২০১৯-এর জুন মাস থেকে হাউস অব প্রফিট তিনি নেন না। আর চেয়ারপার্সন থাকাকালীন ২০১৯-এও ভোটে লড়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বিজেপি হেরে যাবে বলে, এবার শেষ অস্ত্র প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে।’