অলোকেশ ভট্টাচার্য
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন, ‘রবিবার আপ নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিজেপির সদর দফতরে যাবেন। যাকে পারবেন গ্রেফতার করবেন। পারলে সমস্ত নেতাকে গ্রেফতার করুন।’ ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই রবিবার রাজাধানীতে উত্তেজনার সম্ভাবনা ছিল।
উল্লেখ্য, স্বাতী মালিওয়ালকে হেনস্তার অভিযোগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক বৈভব কুমারকে গ্রেফতারির পরে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে আপের সংঘাত চরে উঠেছে। শনিবার এক্স হ্যান্ডেল একটি ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর নাম তুলে হুঁশিয়ারি দেন কেজরি। বলেন, ‘পিএম মোদিজি, আপনি জেলের খেলা খেলছেন। একে একে মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জেলে ভরেছেন।’
এরপর পরিকল্পনা মতোই রবিবার বেলার দিকে বিজেপি সদর দফতরে পৌঁছান কেজরি এবং আপ নেতাকর্মীরা। তবে তৎপর ছিল দিল্লি পুলিশ। ফলে অশান্তি ছড়ায়নি। এদিকে সূত্রে খবর, রবিবার সব মিলিয়ে বিজেপির সদর দফতরের সামনে মিনিট ত্রিশেক ছিল আপের প্রতিবাদ কর্মসূচি। শুরুতে বেশ কিছু আপ কর্মী বিক্ষোভ দেখেন। কিছু আপ নেতা ও কর্মী পুলিশি ব্যারেকড সত্বেও বিজেপি অফিসের দিকে এগোতে চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছান কেজরি-সহ বেশ কিছু প্রথম সারির আপ নেতা। তারা প্রশাসনের দেওয়া ব্যারিকেডের সামনে বসে পড়েন। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর আপ সদর দফতরে রওনা দেন সকলে।
তবে এরপর দলীয় দফতরে ফিরে বিস্ফোরক ভাষায় ভাষণ দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আপকে ঠেকাতে ‘অপারেশন ঝাড়ু’ চালাচ্ছে বিজেপি। উদ্দেশ্য হল যেভাবেই হোক আপ নেতাকর্মীদের জেলে ভরা। গ্রেফতার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা এবং দলীয় দপ্তর বন্ধ করা, আপের বিরুদ্ধে এই তিন পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি।’ একইসঙ্গে এও বলেন, ‘বিজেপি এবং পিএম মোদি অপারেশন ঝাড়ু শুরু করেছে। যাতে করে আমাদের দল আরও বড় না হয়ে ওঠে, যাতে করে ওরা চ্যালেঞ্জের মুখে না পড়ে। অপরেশন ঝাড়ুর ব্যবহারে আপের শীর্ষ নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হবে। আগামী দিন একে একে তাঁদের গ্রেফতার করার ছক কষা হয়েছে। দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ সঙ্গে কেজরি এও দাবি করেন, ‘ইতিমধ্যে ইডির আইনজীবীরা আদালতকে অবগত করেছেন যে নির্বাচনের পর আপের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হবে। তারা আরও জানিয়েছেন, এখন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলে নির্বাচনে সমবেদনা পাবে আপ। তাই ভোটের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও আপের অফিস খালি করে আমাদের রাস্তায় আনা হবে।’