পদ্ম শিবিরও বঙ্গবাসীর মন কাড়তে দুর্গাপুজোকেই হাতিয়ার করল বলে স্যাফ্রন ব্রিগেড সূত্রে খবর। কারণ, এখন বিজেপির কাছে পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা ভোট। ফলে লোকসভা নির্বাচনে বাল কিছু করে দেখাতে হলে বঙ্গবাসীর মন জয় করা সবার আগে প্রয়োজন তা বেশ ভালই বুঝছেন কেন্দ্র থেকে রাজ্য সব স্তরের নেতারাই। সেই কারণে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট পুজোয় জিততে দুর্গাপুজোয় মন পদ্ম শিবিরের। কারণ, বাঙালির প্রাণের উৎসব এই দুর্গাপুজো। বাঙালির মন জিততে পদ্মের মন এবার পুজোয়। জেলা থেকে কলকাতা। শহর থেকে শহরতলির বড় বড় পুজোর সঙ্গে জড়িত তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরাও। পুজোর সময় লাইমলাইট কেড়ে নেন তৃণমূলের নেতারা। পাল্টা এবার পুজো নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপিও।
এদিকে কেন্দ্র থেকে জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে বিজেপির শারদীয়ার নির্দেশ। এই নির্দেশিকা এসেছে তাতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি ব্লকে অনন্ত একটি পুজোয় নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকতে হবে। নিজের এলাকার পুজোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত হতে হবে।’ বিজেপি সূত্রের খবর, পুজোয় জনসংযোগের জন্য প্রতিটি জেলায় বিশেষ টিম তৈরি করছে গেরুয়া শিবির। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে দুর্গাপুজো উদ্বোধনের ভাবনা রয়েছে বঙ্গ বিজেপির। সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব চাইছেন, নরেন্দ্র মোদি এ রাজ্যে এসে অন্তত যেন একটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ-সহ বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার এ বার দুর্গাপুজোয় রাজ্যে আসার কথা। ২০২০ থেকে সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে দুর্গাপুজো শুরু করে বিজেপি। এর কয়েক মাস পরেই একুশের ভোটে বিজেপির কার্যত ভরাডুবি হয়। ফলে সে বছর বিজেপির পুজোর জৌলুসেও যেন কিছুটা ভাটা পড়ে।
এদিকে এ বার পঞ্চায়েত ভোটেও দাপট দেখিয়েছে তৃণমূল। তবে বছর গড়ালেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পুজোয় ফের মন দিচ্ছে পদ্ম শিবির। কারণ এই পুজোর মাধ্যমেই জনসংযোগের কাজটা সেরে ফেলতে চাইছে বিজেপি। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে বাংলা ও বাঙালির আবেগকে আঁকড়ে ধরার শেষ চেষ্টা চলছে বিজেপির তরফ থেকে।