আরজি কর কাণ্ডে আরও এক নয়া বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। জেল হেফাজতে বড় কিছু হতে পারে ধৃতের, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ বিজেপির।
জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তিলোত্তমা ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে ধৃতের বেঁচে থাকাটা খুব জরুরি। কিন্তু কারামন্ত্রীও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কারাতেই ধৃত আছেন। আর কারামন্ত্রী যদি ধনঞ্জয়ের রেফারেন্স দেন, তাঁর মৃত্যুর কথা বলেন, তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানোর কথা বলেন, তাহলে আমাদের চিন্তার কারণ আছে। যদি ধনঞ্জয়ের রেফারেন্স নিয়ে অতীতে কারামন্ত্রী এ কথা বলে থাকেন, তাহলে বড় চিন্তা। তাঁর হেফাজতেই ধৃত আছে। উনিই এই কাণ্ডের সবথেকে বড় প্রমাণ। কারামন্ত্রী আমার জেলার লোক। উনি কথা না বলার লোক। ওনাকে দিয়ে এসব বলানো হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ড নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই এক এক নেতার মুখে এক একরকমের কথা শোনা গিয়েছে। কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সম্প্রতি এই আরজি কর প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ও যেন ধনঞ্জয় না হয়। ধনঞ্জয় আদৌও অতটা দোষী ছিল কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পর অনেক পয়েন্ট বেরিয়ে এসেছে। তাই ওই সিভিক ভলান্টিয়ার দোষী কি না নাকি তার পিছনে আর কেউ আছে তা আমরা দেখতে চাইছি।’
এরই রেশ টেনে এদিন জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় জানান, সংবাদমাধ্যম ও ‘ওপেন সোর্স’ থেকে তাঁরা জেনেছেন, ধৃতের ডিএনএ সিকোয়েন্স মিলে গিয়েছে। সিবিআই ইতিমধ্যেই ১০ জনের লেয়ার্ড ভয়েস অ্যানালিসিস বা এলভিএ করেছে। লাই ডিটেক্টর ও পলিগ্রাফ টেস্টেরও উপরে এই এলভিএ। সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি।