জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা ইস্যুতে সরব বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা

বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা ইস্যুতে সরব হলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। প্রসঙ্গত, পরিষদীয় মন্ত্রী বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে নালিশ জানিয়ে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তৃণমূলের বিধায়করা যখন অবস্থান বিক্ষোভের পর জাতীয় সংগীত গাইছিলেন। তখনও বিজেপি বিধায়করা স্লোগান এবং কটু বক্তব্য রেখেছেন। যা অবমাননার সামিল। অধ্যক্ষের কাছে পুলিশ কর্তারাও হাজির হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অগ্নিমিত্রা পাল রীতিমতো চড়া সুরে বলেন, ‘বিধানসভার অধ্যক্ষের প্রতি আমাদের সামান্যতম আস্থা নেই। তাই মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে আমরা ৩৮ জন বিধায়ক অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি। উনি সব ক্ষেত্রেই পক্ষপাতিত্ব করেন।’

এর পাশাপাশি অগ্নিমিত্রা স্পষ্ট ভাষায় এও জানান,‘চোরেদের তো চোরই বলে স্লোগান দেব। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা যারা লুঠ করে, তারা কি সাধু?’ এই প্রশ্নই তুললেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। পাশাপাশি শাসকদলকে বিদ্ধ করে প্রশ্ন ছুড়ে দিতেও দেখা যায় তাঁকে। বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের যারা টাকা লুঠ করেছিল তারা কি দিনক্ষণ দেখে টাকা লুঠ করেছিল?’ এরই রেশ ধরে শাসকদলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভায় আমরা কখন প্রতিবাদ করব, কীভাবে প্রতিবাদ করব, আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কীভাবে বিধানসভায় সরব হবেন, তা সব বলে দেবে? এটা তো হতে পারে না। তৃণমূল চুরি করতে করতে আমাদের ‘চোর’ স্লোগানটাও চুরি করে নিয়েছে। আমাদের স্লোগান চুরি করে  বিধানসভায় বলছেন অমিত শাহ চোর, নরেন্দ্র মোদি চোর, বিজেপির সবাই চোর। বিধানসভা হচ্ছে বিরোধীদের। আর সেই বিরোধীদেরই আপনারা বলতে দেন না। সব সময় কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেন। বিধানসভার অধিবেশনে বলতে দেবেন না। বাইরেও প্রতিবাদ করতে দেবেন না। এটা কি আফগানিস্তান?’

এরই রেশ ধরে অগ্নিমিত্রা এও জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী কিংবা তৃণমূল ভাবছে বিজেপিকে দখল নেবে। কিন্তু এটা শাসক দলের মনে রাখা দরকার যে, সিপিআইএম ও কংগ্রেসকে দখল নিতে পারবে তৃণমূল। কিন্তু বিজেপিকে কখনোই দখল নিতে পারবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে উভয় জায়গাতেই আমাদের প্রতিবাদের ভাষার ঝাঁঝ আগামী দিনে আরও বাড়বে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × one =