৯ জুলাই আদালতে হাজির না দিলে গ্রেফতার করা হবে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে। সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বিধাননগরের এমপি, এমএলএ কোর্ট। সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে সোনামুখি থানা এলাকায় একটি অশান্তির ঘটনায় হিংসা ছড়ানো, মারধর, শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মামলা হয় সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে। তদন্ত করে চার্জশিটও পেশ করে পুলিশ। সেই মামলাতেই সৌমিত্রর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল। সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, এর আগে চারবার এমপি,এমএলএ কোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও প্রতিবার হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। একাধিক বার হাজিরা এড়ানোর কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ আদালত। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল বলে আদালত সূত্রে খবর।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীতে একটি অশান্তির ঘটনা ঘটে। সোনামুখি থানায় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় তদন্ত করে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। সেই ঘটনায় হিংসা ছড়ানো, মারপিট, শ্লীলতাহানি সহ একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে। গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সৌমিত্রকে চারবার তলব করা হলেও হাজির এড়াতেই এবার বড় সমস্যার মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ।
সৌমিত্র খাঁ কেন আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না সে ব্যাপারে তাঁর আইনজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হয় আদালতে। সৌমিত্রর আইনজীবী জানান, ভোট পরবর্তী হিংসা সামাল দিতে ব্যস্ত রয়েছে তিনি। সেই কারণেই তিনি আদালতে হাজিরা দিতে পারছেন না। আদালতের তরফে জানানো হয় , এর আগে চার চারবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, সাংসদ সেটাতে কর্ণপাত করেননি। সেই কারণেই, এবার বাধ্য হয়ে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে চলেছে।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে এবার লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এবারেও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুজাতা মণ্ডলকে হারিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন সৌমিত্র। যদিও, জয়ের ব্যবধান এবার অনেকটাই কমে যায়। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ। এবারের নির্বাচনে রাজ্যে খারাপ ফলের জন্য বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি।