অবশেষে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হল বিজেপির তরফ থেকে। ডায়মন্ড হারবার থেকে বিজেপির তরফ প্রার্থী করা হয়েছে অভিজিৎ দাস ওরফে ববিকে। এদিকে বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য বিজেপির ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের কো-কনভেনার হিসাবে কাজ করছেন তিনি। এক সময় বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসাবেও কাজ করেছেন এই অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। আর এবার তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাঁড় করাল স্যাফ্রন ব্রিগেড। বিজেপির দাবি, অভিজিৎ ডায়মন্ড হারবারকে হাতের তালুর মত চেনেন। ফলে তাঁর পক্ষে এই কেন্দ্রে লড়াই দেওয়া যথেষ্টই সহজ বলে মনে করছে দল। শুধু তাই নয়, একেবারে নিচুতলা থেকে সংগঠন করে এসেছেন অভিজিৎ। এই মুহূর্তে বিজেপির নির্বাচন সংক্রান্ত যে ম্যানেজমেন্ট টিম, তাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় তিনি। প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র নিয়ে নানা নাম উঠে এসেছে বিভিন্ন সময়।
তরুণ আইনজীবী নেতা থেকে এক সময় তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ করে পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা, এমন এক অভিনেতার নাম নিয়েও জল্পনা হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার একেবারে সকলকে চমকে দিল বিজেপির এই তালিকা। সূত্রে খবর, এমএসসি, এলএলবি করেছেন অভিজিৎ দাস ববি। এক সময় আরএসএসের জেলা প্রচার প্রমুখও থেকেছেন তিনি। সবথেকে বড় কথা ২০০৯ ও ২০১৪ সালে এই ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে ভোটেও লড়েন অভিজিৎ।
তবে অভিজিৎ দাসের নাম ঘোষণার পরই তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন কটাক্ষের সুরে জানান, ‘অভিজিৎ দাস খায় না মাথায় দেয়। বাংলায় একটা সমীক্ষা করে দেখুন তো বাংলার কতজন তাঁকে চেনেন।’ তবে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের গলায় একেবারে ভিন্ন সুর। তিনি জানান, ‘অভিজিৎ দাস ববি আমাদের বহুদিনের সংগঠক। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে, লড়ে চলেছেন তিনি। এমন ভাবার কোনও কারণ নেই আমরা কমজোরি প্রার্থী বা কম ওজনের প্রার্থী দিয়েছি।’