হাইকোর্ট থেকে অনুমতি পাওয়ার পর আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে ‘হাইভোল্টেজ’ সভা বিজেপির। এই সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী বুধবারের এই সভাকে কেন্দ্র করে বিজেপির প্রস্তুতি তুঙ্গে। সেই সভার মঞ্চ বাঁধার আগে রবিবার হয়ে গেল খুঁটি পুজো। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। পাশাপাশি এদিন ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনেই রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে মোদির মন কি বাত শুনলেন বিজেপি নেতাকর্মীরা।
এদিক এই সভা সম্পর্কে মুখ খুলতে দেখা গেল অগ্নিমিত্রা পলকে।তিনি এই সভা প্রসঙ্গে জানান, ‘ ২৯ নভেম্বর বাংলার প্রতিটা মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবেন। যাঁরা এই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও না কোনওভাবে বঞ্চিত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত জিনিস এসেছে, কিন্তু রাজ্য সরকার তাঁদের দেয়নি। মানুষ ২৯ তারিখ এখানে আসবেনই।’
প্রসঙ্গত, ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে যেখানে আগামী সপ্তাহে বিজেপির সভা হবে, সেই জায়গায় প্রতি বছর তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাইয়ের সভা হয়। বিজেপি সেখানেই সভা করতে চায়। তবে প্রথমে কলকাতা পুলিশ সম্মতি দেয়নি। যদিও তাদের যুক্তি ছিল, এখানে সভা হলে যানজট হবে।নাকাল হতে হবে সাধারণ মানুষকে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এই যুক্তি উড়িয়ে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয়। এরপর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যায় মামলা। সেখানেই যানজটের যুক্তি খাঁড়া করে কার্যত অস্বস্তিতেই পড়তে হয় রাজ্যকে। ডিভিশন বেঞ্চ বুঝিয়ে দেয়, মিটিং-মিছিল-যানজট শহরে নতুন কিছু নয়। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মন্তব্য করেন, ‘সরকারি কর্মচারি, রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সবাই রাস্তা আটকে মিছিল করে। পুলিশ অনুমতিও দিয়ে দেয়। আমি ২ বছরের উপর এখানে আছি, আমি দেখেছি এটা এখানে খুব সাধারণ ব্যাপার।’ এরপরই বিজেপির সভা হবে বলে নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে এদিনের এই খুঁটি পুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, সাংগঠনিক সহ সাধারণ সম্পাদক সতীশ ধন্দ, সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পল, সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ, তমোঘ্ন ঘোষ, শিশির বাজোরিয়া ও অন্যরা। সভামঞ্চ তৈরির জন্য মাপজোকের কাজ শুরু হয় রবিবার থেকেই।