লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি অনেকদিন আগেই পড়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে কোমর বেঁধে নামল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যার শুরুয়াৎ হল ২০২৪-এর ভোটপ্রচারের থিম সং প্রকাশের মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে চুপ করে বসে নেই মোদি বিরোধী জোটও। এদিকে ভোটার দিবস উপলক্ষে মোদি দেশের প্রথম ভোটদাতাদের সঙ্গে যখন মত বিনিময় করছেন, তখনই তাঁর দল সামনে আনল এই মিউজিক ভিডিও।যার মূল ভাব হল, ‘তভি তো সব মোদি কো চুনতে হ্যায়।’ এদিকে বিজেপি কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা মোদির নামে এই প্রচার স্লোগান দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ পাঠিয়েছেন কর্মীদের। আম-জনতার আবেগকে নাড়া দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারকে দিল্লির তখত-এ-তাউসে বসাতে নেমে পড়ল গেরুয়া শিবির।
এই ভিডিও সামনে আসতে নজরে এসেছে, এখানে রয়েছে দেশের অতি থেকে অতি সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে মোদি কী কী করেছেন। একইসঙ্গে দেশের প্রযুক্তি, জল সরবরাহ, শিশু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, পরিকাঠামো, বিজ্ঞান, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ বিজয় থেকে সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে ছবি ও গানে। মিউজিক ভিডিও প্রকাশের অনুষ্ঠানে নাড্ডা বলেন, স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অক্ষরে অক্ষরে প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন। অমৃতকালের পূর্বজ, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্নকে সাকার করেছেন তিনি। রামমন্দিরের নাম উল্লেখ না করে নাড্ডার দাবি, ৫০০ বছরের পুরনো দায়িত্ব ও প্রতিশ্রুতি সম্পাদন করেছেন মোদি।
এদিকে বিজেপি শিবিরের অন্দরে কান পাতলে এও শোনা যাচ্ছে, এই ভিডিও ছাড়াও কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপি শিবির মোদি বন্দনার গণসঙ্গীত গোছের গান নিয়ে আসতে চলেছে। ডিজিটাল হোর্ডিং, ডিসপ্লে ব্যানার, ডিজিটাল ফিল্ম এবং টিভিসি প্রকাশ করবে। এই সব প্রচারে মুখ্য ভূমিকা নেবেন মোদি।
একইসঙ্গে এও নজরে আসছে প্রধানমন্ত্রী মোদি জোর দিচ্ছেন নতুন ভোটারদের ওপর। মিলিজুলি ইন্ডিয়া জোটের নাম না করেও মোদি বার্তা দিচ্ছেন একটি স্থায়ী সরকারই পারে কঠোর, কঠিন, দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে। দশকের পর দশক ধরে পড়ে থাকা সমস্যা আমাদের সরকারই মিটিয়েছে। কংগ্রেসের নাম উহ্য রেখে আরও বলেন, ১০-১২ বছর আগের পরিবেশ দেশের যুবকদের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। তাই নতুন ভোটাররা যেন দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে তাঁরা যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নেন।