উত্তপ্ত মালদার মোথাবাড়ি। বৃহস্পতিবার ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জেরে রণক্ষেত্র এলাকা। এদিকে এই ঘটনায় হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এরপরই শুক্রবার এই অশান্তির ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এরপর বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়।
আদালত সূত্রে খবর, এদিন সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার ও মালদহের জেলাশাসককে ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। সঙ্গে এও নির্দেশ দেওয়া হয়, কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা বিস্তারিত জানাতে হবে রিপোর্টে। আগামী বুধবার জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘ঘটনার স্পর্শকাতরতা দেখে মনে হয় রাজ্যের দায়িত্ব নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের ভূমিকা আছে বলে মনে হয় না। আমরা সবাই চাই শান্তি। রাজ্য সেটা দিতে ব্যর্থ হলে দেখা যাবে।’
একইসঙ্গে মোথাবাড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজ্যকে ফেসবুক লাইভ ও ভিডিও ফুটেজ-সহ যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় দুটো দোকান ভাঙা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। ৭ জন ইন্সপেক্টর ৫ জন ডিএসপি পদমর্যাদা আধিকারিক-সহ মোট ৩০০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। দুই ধরনের ভিডিও রাজ্যের হাতে এসেছে বলেও জানানো হয়। তবে তাদের মধ্যে কিছু সঠিক ও কিছু ফের বলে দাবি। এদিকে বিএসএফ সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে মোথাবাড়ি-সহ আশেপাশের এলাকায় ৮৭ জন জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের সহযোগিতা করার জন্য।
এদিকে বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার মোথাবাড়ি থানায় যাচ্ছিল। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন দক্ষিণ মালদার বিজেপি সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়, মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহা, গাজল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন এবং রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। তবে ইংরেজ বাজার থানার সাদুল্লাপুর এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে এঁদের পথ আটকে দেয়। পুলিশের এই ভূমিকায় তীব্র নিন্দা জানায় বিজেপি।