মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট বিজেপির

নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা ভাষণ দিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে এবার বিধানসভায় ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়কেরা। শনিবার নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বক্তৃতা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার আঁচ যে সোমবার বিধানসভা অধিবেশনও পড়তে চলেছে, তা আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রীরাই এই নিয়ে শোরগোল করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে এক্কেবারে উল্টোচিত্র ধরা পড়ে সোমবারে বিধানসভা অধিবেশনে। এদিন এবিষয়ে আলোচনার জন্য বাতিল করে দেওয়া হয় প্রশ্নোত্তর পর্বই। এরপর  বিজেপি বিধায়করাই শোরগোল তৈরি করলেন। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা ভাষণ রেখেছেন। এরপরই এর প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন তাঁরা।

বিজেপি-র অভিযোগ, নীতি আয়োগের বৈঠকের ভিতরে কী ঘটেছে, তা না জেনেই, শুধুমাত্র সাংবাদিকদের সামনে এসে মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন, তার প্রেক্ষিতে এই ধরনের আলোচনা বিধানসভায় করা উচিত হয়।

এদিকে বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করায় বিরক্ত হন স্পিকার। এই প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, ‘বিরোধীরা ভুলে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী লিডার অফ হাউজ। আমার এক্তিয়ারে এলে আলোচনা করতে পারি। প্রয়োজনে প্রিভিলেজ হবে।’

এদিনের এই ওয়াক আউট প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘এই দাবি সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে বেমানান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন, ওঁর ভুলে যাওয়া উচিত নয়, নবান্ন আর নীতি আয়োগ সরকারি সভা। এই মুখ্যমন্ত্রী ২০১১ সালের আগে এত এত দুর্নীতির ফাইল দেখাতেন, ২০১১ থেকে ২০২৪ হয়ে গিয়েছে, ওই ফাইল আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।’ একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় অর্থ পাওয়ার বিষয়ে ওঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। ফলে উনি মিথ্যা ভাষণ দিয়েছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী অর্থনৈতিক অবরোধের কথা বলেন, ২০১১ সালের পরে এই রাজ্যের সমস্ত পৌরসভা, পৌরনিগম, জেলা পরিষদ আর্থিকভাবে বঞ্চিত করে এগুলোকে দখল করেছে। কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর অসত্য ভাষণ, আর তা নিয়ে আলোচনার বিরোধিতায় আমরা বাইরে এসেছি।’

এদিকে এদিনের এই ঘটনায় ফিরহাদ হাকিম বিজেপিকে কটাক্ষ করে জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতা হ্যয় তো দিল্লি কাঁপতা হ্যয়। লজ্জার চোটে ওরা ওয়াক আউট করেছে। স্পিকার স্যর আপনি কিছু মনে করবেন না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 4 =