শুক্রবার সন্দেশখালির পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার তৈরি করে দেওয়া ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য বাংলায় এই সংসদীয় দল পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে নিউটাউন থেকে তাঁরা রওনা দেন এই ছয় সদস্যের দল। সন্দেশখালি ঘুরে এসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন বলে জানা গিয়েছে।
সন্দেশখালি ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এর মাঝেই বিজেপি কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়। সেই টিম বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতায় পৌঁছায়। এরপরই শুক্রবার সকালে তাঁরা সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন। বিজেপির সংসদীয় টিমে আছেন রাজ্য বিজেপির আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ। এর পাশাপাশি রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, সুনীতা দুগ্গল, প্রতিমা ভৌমিক সহ অন্যান্যরা।
এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার আগে মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা কোনও সভ্য সমাজে ঘটে না। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যেই এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সরকার চায় না, ওখানে যা ঘটছে, সেটা সবার সামনে আসুক। সেই ঘটনা সামনে আনতেই আমরা নির্যাতিতদের সঙ্গে কথা বলব।’ অন্যদিকে, শুক্রবারই সন্দেশখালিত কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা রয়েছে গোটা সন্দেশখালি জুড়ে। একাধিক সংবেদনশীল জায়গায় রয়েছে ১৪৪ ধারা।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি যান তিন বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে করে। তবে সরবেরিয়াতে রাস্তায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় বসে অপেক্ষা করেন তাঁরা। আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারী আইনি সহায়তা নিয়ে ফের সন্দেশখালি যাবেন বলে জানিয়ে দিয়ে যান। এর আগে রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যরা, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা, রাজ্য পুলিশের বিশেষ টিম সন্দেশখালি পরিদর্শন করে আসেন। ওই এলাকায় যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিকে শুক্রবারই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর যাওয়ার কথা রয়েছে সন্দেশখালি।