নবান্ন অভিযানে আটক বহু। ধৃতদের মুক্তির দাবিতে এবার লালবাজার অভিযানে বিজেপি। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাদাঁনে গ্যাস ছুঁড়তে হয় পুলিশকে। ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে কলকাতা পুলিসের সদর দফতরে। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত মজুমদার।
আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান হল। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সাঁতরাগাছি, বড়বাজার। নবান্নে অভিযানে যাঁরা শামিল হয়েছিলেন,তাঁদের অনেকেই আটক করেছে পুলিশ। এরপরই ধৃতদের মুক্তির দাবি তোলে বিজেপি। আর এ জন্য পুলিশকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই সময়সীমা শেষ হতেই শুরু হয় বিজেপির লালবাজার অভিযান। সুকান্ত তো বটেই, মিছিলে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ-সহ দলের অন্য নেতারা।
এদিকে মিছিল আটকাতে ততক্ষণে রাস্তায় ব্য়ারিকেড করে দেয় পুলিস। হেলমেট পরে, হাতে বেতের ঢাল নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন উর্দিধারীরাও। বউবাজারের বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এবং বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা প্রতিরোধ করে পুলিশও। শেষে রাস্তা বসেই পড়েন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। স্লোগান দিতে থাকেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’,’হায় হায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। এরপর বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিস। শেষ খবর অনুযায়ী, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এবং বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের সংযোগস্থলে অবশ্য এখনও বিক্ষোভ চলে।
এদিকে নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে রাজ্যজুড়ে বুধবার বনধের ডাক দেয় বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ছাত্রদের নবান্ন অভিযানে যে বর্ররোচিত আক্রমণ হয়েছে, সেই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে এবং আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে সমস্ত মানুষ পথে নামুন। বুধবারের ছাত্রের উপরে এই বর্রবোচিত আক্রমণের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বনধ সফল করুন’।