নির্বাচন কমিশনকে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার হিসাব দিতে দেখা গেল প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের তরফ থেকেই। আর সেখানেই সামনে এল এক চমকপ্রদ তথ্য। কারণ, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, বিজেপির একার ব্যাংকে রাখা টাকার পরিমাণ অন্য সব জাতীয় দলের মোট জমার প্রায় ১১ গুণ। তবে এই হিসেব কেবল দলগুলির কেন্দ্রীয় ইউনিটের। রাজ্য বা তার নিচের দিকে কত টাকা জমানো আছে, সে তথ্য এখানে নেই। সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির হিসেবে বিজেপির কেন্দ্রীয় সংগঠনের ব্যাংক জমার পরিমাণ ৬,৯০০ কোটি টাকা।
সেখানে কংগ্রেসের ৫৪ কোটি, সিপিআইএম-এর ৪ কোটি, বহুজন সমাজ পার্টির ৫৭৮ কোটি এবং আম আদমি পার্টির ১০ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা আছে। আর একটি জাতীয় দল এনপিপি-র তথ্য না পাওয়া গেলেও তা আম আদমি পার্টির থেকে অনেক কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, বিজেপি ছাড়া অন্য ৪ জাতীয় দলের ব্যাংকে মোট জমা থাকা টাকার পরিমাণ ৬৪৬ কোটি টাকা, আর একা বিজেপির ৬,৯০০ কোটি টাকা। দিল্লি ভোটের পরে দলগুলো এই তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করেছে।
উল্লেখ্য, এই গচ্ছিত টাকার পরিমাণ সাধারণ নির্বাচনের প্রক্রিয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কমিশনকে গচ্ছিত টাকা জমা দেয়। সাধারণত এই টাকা নির্বাচনী প্রচার, প্রার্থী বাছাই ও অন্যান্য নির্বাচনী কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নির্বাচন কমিশন এই টাকার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে এবং হিসাব নিরীক্ষা করে দেখে থাকে।
এখানে একটা কথা বলতেই হয়,তা হল রাজনৈতিক দলগুলিকে কিছু নির্দিষ্ট কারণে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ জানাতে হয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কারণে। এর অন্যতম কারণ হল দলগুলির মধ্যে আয় ব্যয়ের সহ আর্থিক কার্যকলাপের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করা।