‘রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হওয়া দরকার।’ উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ফিরে এমনটাই বার্তা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। মনোনয় থেকে যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে তা নিয়ে একের পর এক কড়া মন্তব্য করতে দেখা গেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। শুধু তাই নয়, আইন শৃঙ্খলা অবনতির প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে রাজভবনে ডেকেও পাঠান রাজ্যপাল। প্রথম ডাকে নির্বাচন কমিশনার সাড়া না দিলেও পরে নিজেই দেখা করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। সেদিনও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় বলেই সূত্রে খবর মিলেছে। এরপর উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ফিরে সোমবার আবারও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া বার্তা দিতে দেখা গেল রাজ্যপালকে।
কোচবিহার থেকে কলকাতা পৌঁছে রাজভবনে আর পা রাখেননি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। পদাতিক এক্সপ্রেসে শিয়ালদহ পৌঁছেই সোজা চলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। যেখানে শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে খুন হয়েছেন যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা। রবিবার কোচবিহার থেকে ফেরার পথে পদাতিক এক্সপ্রেস থেকেই ফোনে নিহত যুবতৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। এরপর সোমবার সকালে কলকাতা পৌঁছে সরাসরি চলে যান বাসন্তীতে৷ যে অঞ্চলে জিয়ারুল খুন হয়েছেন সেই এলাকায় পরিদর্শন করার পাশাপাশি এলাকার গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলার পরে নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে না গেলেও পরে নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যদের ক্যানিংয়ে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। তাঁদের সঙ্গে বিশদে কথা বলেন। পাশাপাশি, ৪০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যও জিয়ারুলের পরিবারের হাতে তুলে দেন। তারপরেই প্রাক পঞ্চায়েত হিংসা প্রসঙ্গে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে৷
একইসঙ্গে এদিন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস কড়া ভাষায় এ বার্তাও দেন, ‘মানুষের রক্তে রাজনৈতিক হোলি দুর্ভাগ্যজনক। এলাকায় গিয়ে আমি পরিস্থিতি দেখেছি। কে হিংসা ছড়াচ্ছে সেটা বড় কথা নয়, মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এটাই বড় বিষয়। কারা অশান্তির পিছনে তার তথ্য আমার কাছে রয়েছে। হিংসার দুঃখজনক অধ্যায় শেষ হওয়া উচিত।ট আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কড়া মন্তব্য করার পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। বলেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের উচিত সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করানো।‘