বুধবার রাতে ‘মেয়েদের রাত দখলের’ কর্মসূচির মাঝেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ঘটনার অকুস্থল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লাঠি-রড হাতে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে বহিরাগতরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপান সিভি আনন্দ বোস।
রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘রক্তস্নান চলতে পারে না। মানবতার লজ্জা। চিকিৎসকদের দাবি শুনতে হবে। বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই। ঘটনার পরদিনই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম। চিঠিতেই তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে৷’
বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে তুমুল তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে জরুরি বিভাগের একাংশ৷ প্রসঙ্গত, এই জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হলেই উদ্ধার হয়েছিল ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ৷ যদিও পরে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, ক্রাইম সিন অর্থাৎ, সেমিনার হলে বুধবার রাতে কোনও ভাঙচুর চালানো হয়নি৷
এদিন আন্দোলনকারী ছাত্ররা তাঁদের দাবি পেশ করেন রাজ্যপালের সামনে। ইতিমধ্যেই টালা থানার কাছে সংশ্লিষ্ট ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে সিবিআই। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর ও ডিআইজি-সহ বিশেষ টিম৷ নিগৃহীতার বাড়িতে সিবিআইয়ের যে দল যাচ্ছে, সূত্রের খবর, সেই দলে রয়েছেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর৷