নিয়োগ দুর্নীতিতে শীর্ষ আদালতে দায় স্বীকার পর্ষদের

নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্টে এবার দায় স্বীকার করল পর্ষদ। নবম দশম, একাদশ দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে শনিবার সুপ্রিম কোর্টে লিখিতভাবে সাফাই দিল পর্ষদ। অনেকে সুপারিশপত্র পেয়েও স্কুলে যোগদান করেননি। ফলে সেই জায়গায় অন্য একজনকে নিয়োগ করেছে পর্ষদ। তাই একই শূন্যপদে একাধিক নিয়োগপত্র ইস্যু হয়েছে। এমনই দাবি পর্ষদের। এদিকে পর্ষদের তরফ থেকে শীর্ষ আদালতে এও জানানো হয়েছে যে, শূন্যপদের সঠিক হিসাব পর্ষদের কাছে ছিলই না। আর তারই জেরে এই বিভ্রান্তি।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আর সেই মামলায় এসএসসি বারবার নিজেদের ‘স্ট্যান্ড পয়েন্ট’ অর্থাৎ অবস্থান পরিবর্তন করেছে। অভিযোগ উঠেছিল তেমনই। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ লিখিতভাবে জানিয়েছে, নিয়োগ ও সুপারিশের মধ্যে যে গরমিল, তার কারণ নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া না থাকা। পর্ষদ জানাল, সঠিক শূন্যপদের তথ্য না থাকার জন্যই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তাতেই একই ভ্যাকান্সিতে একাধিক নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। একাধিক নিয়োগ হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টে আদৌ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই যুক্তি ধোপে টেকে কিনা, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ‘নতুন যুক্তি সুপ্রিম কোর্টে খাড়া করলে হবে না। যে যে যুক্তি ওরা প্রথমদিকে দিয়েছিল তথ্যের ভিত্তিতে, সেটাই গ্রহণযোগ্য। পর্ষদ স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিয়োগপত্র দিয়েছে। সে তথ্য তো আছেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজেদের বাঁচাবার জন্য অনেক যুক্তি খাড়া করতে পারে। সেটা গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে হয় না।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার এসএসসিতে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি রয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে। তার আগেই সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ৩ অগাস্ট মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ৬ পাতার রিপোর্ট জমা দেয় সুপ্রিম কোর্টে। এই রিপোর্টে তাদের দাবি মোট ২৫,৮৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে নবম-দশমে ১৩০৫৬। একাদশ-দ্বাদশে সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি ৫৭৫৭ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও গ্রুপ-ডি পদে ৪৫৪৭ ও গ্রুপ-সি পদে ২৪৮৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + eighteen =