শ্যামবাজারে এভি স্কুলের সামনে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার

ফের অস্বাভাবিক মৃত্যু শহরে। মঙ্গলবার সকালে খাস শ্যামবাজারে এভি স্কুলের মেইন গেটের অদূরেই পড়ে থাকতে দেখা যায় বছর ৪৫-এর  এক ব্যক্তির দেহ। স্থানীয়দের নজরে আসে থেঁতলে গিয়েছে মুখ, ক্ষতবিক্ষত দেহ। বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা না গেলেও ওই ব্যক্তি এলাকার অনেকের কাছেই চেনা মুখ।  প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির মাথার পিছনে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখও ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় রক্তের ছাপ রয়েছে। এদিকে অদূরেই কলকাতা পুলিশের কিয়স্ক। ফলে পুলিশ কিয়স্কের সামনে এভাবে দেহ পড়ে থাকার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে এলাকারই এক পাম্প কর্মী প্রথমে দেহটি উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি কিয়স্কে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশকে বিষয়টি ডেকে দেখান। দেহ উদ্ধারের খবর তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। এরপরই দ্রুত দেহটি উদ্ধার করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাতে প্রাথমিকভাবে মাথার পিছনে আঘাতের ফলেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে মুখ।  দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শ্যামপুর থানার পুলিশ।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই ব্যক্তি পেশায়  রাঁধুনি। এলাকার ছোটো হোটেলগুলিতে রান্নার কাজ করতেন। কারণ দেহের পাশে রান্না করার সরঞ্জাম পড়ে ছিল। এদিকে এলাকাবাসীরাও জানিয়েছেন তাঁকে বিভিন্ন সময়ে রান্নার কাজে বিভিন্ন হোটেলে দেখা যেত।

তবে এদিনের ঘটনায় যে প্রশ্ন সামনে এসেছে তা হল, যেখানে দেহটি পড়েছিল তার অদূরেই পুলিশের কিয়স্ক। যদি খুন হয়ে থাকেন, তাহলে পুলিশ কিয়স্কের সামনেই কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? নাকি অন্যত্র খুন করে দেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলেও কীভাবে পুলিশের নজর এড়াল? সব কটি দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × two =