হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা, বৃষ্টির সম্ভাবনা

হাড়হিম করা ঠাণ্ডার মধ্যে মকর সংক্রান্তির ভোর থেকে ঘন কুয়াশার ঢাকা পড়েছিল গোটা রাজ্য। এখন ও সেই আবহাওয়া অব্যাহত।দক্ষিণবঙ্গে এই কুয়াশার জেরে বহু ট্রেন দেরিতে চলছে। বিশেষ করে অফিসযাত্রী ও স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা ট্রেন দেরিতে চলায় অসুবিধায় পড়েন।

শহর থেকে জেলা, হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার জোরাল দাপট ছিল সর্বত্রই। এদিন সকাল ৯টায় মেদিনীপুর শহরের দখল নেয় ঘন কুয়াশা। মেদিনীপুর শহরের ২৫টা ওয়ার্ডের সব জায়গাতেই একই অবস্থা। এছাড়াও মেদিনীপুর শহরের আশপাশেও প্রায় একই চিত্র। সকালে দুচাকা, চারচাকা গাড়িকে হেডলাইট জ্বেলে চলাচল করতে দেখা যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ি চলছে ধীরগতিতে।

এদিকে  বুধবার ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। জাঁকিয়ে যে ঠাণ্ডা পড়েছিল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আপাতত তার জাঁতাকলে পড়েছে শীত। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস জানাচ্ছে, রাতের দিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। তবে দিনের বেলায় স্যাঁতস্যাঁতে একটা ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকবে।

এদিকে বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি  সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন এমনই জাঁকিয়ে শীত থাকবে শহরে। এদিন কলকাতায় হালকা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে আরও কয়েকদিন এমন জাঁকিয়ে ঠাাণ্ডা থাকবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রামে প্রবল শীত পড়বে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে যেতে পারে। ঠান্ডার দাপট থাকবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =