আজ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি। যে দিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা তথা দেশ। এদিকে রবিবার বিকেল-সন্ধে থেকেই প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছিল কলকাতার মানুষ। রাতদখলের তৃতীয় পর্বের আন্দোলন। আর এই উত্তপ্ত আবহে ফের একবার নবান্ন বনাম রাজভবন সংঘাত সামনে। রবি সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তখনই মমতাকে অবিলম্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেন বোস। আলোচনার বিষয়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণের দাবি, অন্তত এমনটাই রাজভবন সূত্রে খবর।
জানা যাচ্ছে, গোয়েলকে অপসারণ করার যে দাবি জনগণ তুলেছে, সেই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে চাইছেন বোস। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনগণের ক্ষোভের কথা স্মরণ করিয়ে রাজ্য়পাল অবিলম্বে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। রাজ্য সরকার সংবিধানিক ও আইনি পথেই চলুক, এমনটাই চাইছেন রাজ্য়পাল। কোনও একটি নির্দিষ্ট গুরুতর দাবি এড়ানো যাবে না। জনগণ যা বলছেন বা ভাবছেন সেটা যথার্থ বিবেচনা করেই অনুধাবন করতে হবে। কারণ বোস মনে করেন যে, যখন একটা বৃহত্ অংশের মানুষ গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন, তখন সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। রাজ্য়পাল শুরু থেকেই বলে আসছেন যে, নির্যাতিতার পরিবার সুবিচার পাবেই।
আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ন্য়ায়বিচারের দাবিতে তোলপাড় কলকাতা। উত্তর থেকে দক্ষিণে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বের হওয়া মিছিলে এদিন একটাই দাবি। বিচার চাই, বিচার চাই। ধর্মতলায় ডাক্তারদের মিছিলে ও রাশবিহারীতে বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রাক্তনীদের মিছিলে হাজির হয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা বলেছেন আর কোনও বাবা-মাকে যেন এভাবে সন্তানহারা না হতে হয়।