বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনই সম্ভাবনায় আরজি করে তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ খুনের মামলায় সিবিআই হেফাজতে টালা থানার তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডল ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এই দু’জনকেই ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত।
তথ্যপ্রমাণ লোপাট, সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি এফআইআর দায়ের করার ঘটনায় আরজিকর কাণ্ডে কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।এরপর রবিবার ধৃতদের তোলা হয় শিয়ালদহ আদালতে।
এদিন আদালতে সন্দীপ ও অভিজিতকে ৩ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার আইনজীবী বলেন, ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দু’জনকে মুখোমুখি জেরা করা দরকার। অনেকে বলছেন, পুলিশ ও সিবিআইয়ের মধ্যে টানাটানি চলছে। কিন্তুএ রকম নয়। আমরা সত্যিটা জানতে চাইছি। শুধু ওসি নন, অভিজিত্ মণ্ডল একজন অভিযুক্ত। কোনও ষড়যন্ত্র হয়ে থাকলে তা উদঘাটন করা দরকার।’
সিবিআই আইনজীবীর আরও সওয়াল, ‘প্রথমে আত্মহত্যা বলা হয়েছিল। কিন্তু দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যৌন নির্যাতন হয়েছে। অনেক দেরিতে সব কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দেরিতে এফআইআর রুজু করা হয়। ঘটনাস্থল কর্ডন করা হয়নি। প্রচুর লোক ঢুকে পড়ে ঘটনাস্থলে’।
এদিকে সিবিআইয়ের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিজিতের আইনজীবীর। তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র, কর্তব্য পালনে গাফিলতি বা প্রমাণ লোপাটে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সবগুলিই জামিনযোগ্য। সেক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে। কিন্তু ওসি-কে নিয়ে সিবিআই কিছু বলার নেই’। সঙ্গে দাবি, অভিজিতকে ৬ বার তলব করা হয়। অভিযুক্ত হিসেবে কখনও ডাকা হয়নি। মানে এতদিন সিবিআই জানত না, তিনি অভিযুক্ত। অ্য়ারেস্ট মেমোয় স্ত্রী বা কোনও আত্মীয়ের সই নেই। কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা-ও দেখানো হয়নি।’