প্রায় দু’মানুষ সমান উঁচু পাঁচিল পেরিয়ে রাত হলেই টপকে উড়ে আসে মদের বোতল। মাঝরাতে ইটের ওপর বোতল পড়ার শব্দ কানে যায় ছাত্রীদের। বেহালার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বড়িশার নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সীমানার প্রাচীরের ওপার থেকে ছাত্রীদের হস্টেলে মদের বোতল ছোড়ার অভিযোগ। মূলত সিস্টার ফ্লোরেন্স কলেজ অফ নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পূর্বা দে হস্টেল এবং ক্যান্টিনের মাঝের অংশে বোতল উড়ে আসছে বলে অভিযোগ। এর জেরে তাঁরা আতঙ্কে থাকেন যাঁরা মদের বোতল ফেলছেন, তাঁরাই যেন আবার পাঁচিল টপকে ভিতরে না চলে আসেন। ছাত্রীদের অভিযোগ, গত দেড় মাস যাবৎ এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। রাত হলেই মদের বোতল পাঁচিলের ওপাশ থেকে ফেলা হচ্ছে। কারা ফেলছেন, তা আঁচ করতে পারছেন না তাঁরা। এরপর কিছুদিন আগেই বেহালার অক্সফোর্ড মিশন চার্চের ভিতের ঢুকে গুন্ডামি ও হুমকির অভিযোগ উঠেছিল। সে সময়ে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এই কাণ্ড। দু’ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসাজশ রয়েছে কিনা, সেটা নিয়েই সন্ধিহান কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের কথায়, একদিন বা দু’দিন নয়, সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনই পাঁচিলের ওপাশ থেকে উড়ে আসছে মদের বোতল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে ডায়োসিস অফ চার্চ কলকাতাকে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও কাউন্সিলর তথা ১৬ নম্বর বরো চেয়ারম্যান সুদীপ পোল্লে ঘটনা প্রসঙ্গে কিছুই জানেন না বলে জানান। তাঁর বক্তব্য, ‘রাতের অন্ধকারে কারা মদের বোতল ছুড়ছে, সেটা দেখার দায়িত্ব তো আমার নয়। আর এই ধরনের কোনও অভিযোগ আমার কাছে আসেওনি।’ তাঁর কাছে অভিযোগ এলে তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বস্তও করেন।
সিস্টার ফ্লোরেন্স কলেজ অফ নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ ঝর্ণা ঘোষ বলেন, ‘আমাদের কলেজটা অনেকদিন পুরনো। ২০০৬ সাল থেকে চলছে। এতদিনের পুরনো কলেজে অনেক ছাত্রছাত্রীর সাহায্য হয়। আমাদের পড়ুয়ারা যাতে নিরাপদ থাকতে পারে, কলেজটা চালানোর জন্য যেটুকু সাপোর্ট দরকার, সেটাই যেন আমাদের স্থানীয় প্রশাসন করে।’ গোটা বিষয়টিতে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘এটাই তৃণমূলের কালচার। এর সঙ্গেই আপোস করে নিতে হচ্ছে।’