ভারত–পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা জেলায় অনুপ্রবেশের একটি বড়সড় চেষ্টা রুখে দিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলায় পাকিস্তান থেকে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয় বলে জানানো হয় বিএসএফের তরফ থেকে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, এর আগে পাকিস্তান থেকে চালানো একাধিক হামলা ও ড্রোন অনুপ্রবেশের চেষ্টা বিফলে যায় ভারতীয সেনাবাহিনীর দক্ষতায়। তবে গত কিছুদিনে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নজরদারি আরও কড়া করা হয়।
তবে এবার ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের নিরাপত্তা ও শান্তি বিঘ্নিত হলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে এবং কোনও প্ররোচনায় ভারত মাথা নত করবে না।সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু, আরএস পুরা, সাম্বা, হিরানগর এবং আর্নিয়া—এই পাঁচটি সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি ও শেলিং হয় পাক সেনার তরফ থেকে। মূলত ভারতীয় সেনা ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান এই আক্রমণ চালায়। ভারতও সমানতালে জবাব দেয় এবং শত্রু পক্ষের হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। রাজস্থানের জয়সলমীরেও পাকিস্তানি ড্রোন ঢোকার চেষ্টা করে, যেটিকে মাঝ আকাশেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে গুজরাতের স্যার ক্রিক অঞ্চলেও একটি পাকিস্তানি ড্রোন ধ্বংস করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, জম্মু, পাঠানকোট ও উদমপুরে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে ভারত তাদের কাইনেটিক ও নন–কাইনেটিক (শারীরিক ও প্রযুক্তিগত) সক্ষমতার মাধ্যমে এই হুমকিগুলি দ্রুত নিষ্ক্রিয় করে। কোনও প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছে মন্ত্রক। তবে এই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী অঞ্চল জুড়ে সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়, ফিরোজপুর, মোহালি ও গুরুদাসপুর এবং রাজস্থানের একাধিক অঞ্চলেও ব্ল্যাকআউট করা হয়েছে। এমনকি গুজরাতেও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে, যাতে শত্রু পক্ষের নজরদারিতে অসুবিধা হয় এবং ঘাঁটিগুলিকে রক্ষা করা যায়।
এই মুহূর্তে গোটা সীমান্ত অঞ্চলজুড়ে চরম সতর্কতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছে। সেনা, বিএসএফ, বিমান ও নৌ বাহিনী ত্রিস্তরীয় প্রতিরক্ষা বলয় তৈরি করেছে।