শিবাশিস রায়
জোর করে যুবতীকে চুমু খাওয়ার অভিযোগে মুখ খুলল বিএসএফ। বিএসএফের ডিআইজি জানান, ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হয়েছে। তবে তাঁর দাবি, অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ওই বিএসএফ জওয়ানের। রবিবার মহিলার স্বামী তাঁদের দেখে ফেলেন। এরপরই ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। এদিকে ভোটের মরশুমে বিএসএফের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে হাতিয়ার করছে শাসকদল।
এই প্রসঙ্গে বিএসএফের ডিআইজি এ কে আর্য জানান, ‘এই ঘটনাটির ব্যাপারে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওই জওয়ানকে ভোটের ডিউটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ সঙ্গে তিনি এও জানান যে তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই জওয়ানের সঙ্গে অভিযোগকারি মহিলার মোবাইল নম্বর আদানপ্রদান হয়েছিল আগেই। গত তিনদিন ধরে ওই মহিলা জওয়ানের সঙ্গে নিজেই যোগাযোগ রাখছিলেন। রবিবার সকালে দুজনকে একসঙ্গে দেখেন মহিলার স্বামী। এর পরই বিপদ বুঝে ইউ-টার্ন নেন তিনি। মহিলা চিৎকার করে ওঠেন এবং পালিয়ে যান। এরপরই ওই মহিলা দাবি করেন, জোরপূর্বক তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়েছে। কিন্তু এই দাবি একেবারেই সত্যি নয়। তদন্তে তা প্রমাণিত বলেই দাবি বিএসএফের। বিএসএফের ডিআইজি আর বলেন, কোনও জওয়ান বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের অভিযোগ আসামাত্রই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিএসএফ তার তদন্ত করে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি।’
ঘটনার সূত্রপাত রবিরার সকালে। ভোটের ডিউটির দায়িত্ব নিয়ে কুলগাছিয়ায় পাঠানো হয়েছিল বিএসএফ জওয়ানকে। অভিযোগকারিণী মহিলার দাবি, রবিবার সকালবেলা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই উর্দিধারী এই বিএসএফ জওয়ান তাঁকে লক্ষ্য করে অশ্লীল ইঙ্গিত করেন। কুপ্রস্তাবও দেন। তিনি প্রতিবাদ করতেই আচমকা তাঁকে জাপটে ধরেন। এরপর জোর করে চুমু খান জওয়ান। পরে তাঁর চিৎকারে এলাকার বাসিন্দারা সেখানে ছুটে এলে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান অভিযুক্ত। এরপরই এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় উলুবেড়িয়া থানায়। বিষয়টি নিয়ে সরব হন তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপরই অভিযুক্ত জওয়ানকে ডিউটি থেকে সরিয়ে দেয় কমিশন।
এদিকে শুধু উলুবেড়িয়া নয়, ভোটের ডিউটিতে এসে জাঙ্গিপাড়ায় মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল আইটিবিপি জওয়ানের বিরুদ্ধে। তাঁকে বেধে গ্রামবাসীরা মারধর করে বলেও অভিযোগ। যেখানে ভোটারদের আশ্বস্ত করতে জওয়ান সর্বতোভাবে বদ্ধ পরিকর সেখানে এই ঘটনায় তাঁদের এক অংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।