চিকিৎসায় অল্প সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর আচ্ছন্ন ভাব কিছুটা কেটেছে। মাঝে মধ্যে অল্প চোখ খুলছেন। রাইলস টিউবে দেওয়া হচ্ছে তরল খাবার। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে এলেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। এলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এসেছেন বিমান বসু, কংগ্রেস নেত্রী কৃষ্ণা দেবনাথ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখনও আইসিইউ-তে থাকলেও বুদ্ধবাবুর ঘুমের ওষুধ বন্ধ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের ডাকে হাত-পা নাড়িয়ে সাড়া দিচ্ছেন তিনি। ক্রিয়েটিনিন ২ থেকে কমে ১.৮৬ দাঁড়িয়েছে। প্রস্রাবের মাত্রা ভাল।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্লেবশিয়েলা নামে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স এক ব্যাক্টেরিয়ার খোঁজ মিলেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে। ফুসফুসের দু’দিকেই আক্রমণ করেছে নিউমোনিয়া। এদিকে ইতিমধ্যেই বদলে ফেলা হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। আগামী ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা করছেন চিকিৎসকেরা। এদিকে রক্তচাপের ওঠানামা রয়েছে। ন’জন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, রাত্রিবেলা নতুন করে বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। এই মুহূর্তে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন তিনি। তবে তিনি যে একেবারেই বিপদমুক্ত বলা যাচ্ছে না। এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে রবিবার একটি সিটি স্ক্যানের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ফুসফুসের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা বোঝার জন্যই এই সিটি স্ক্যান। রক্তের কয়েকটি পরীক্ষাও পুনরায় করা হতে পারে বলে খবর।