ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা ভেবে বুমরাহকে ইংল্যান্ড সিরিজে ব্যবহার করবে টিম ইন্ডিয়া, এমনটাই শোনা গিয়েছিল। গৌতম গম্ভীরও জানিয়েছিলেন, বুমরাহকে তিনটি টেস্ট খেলানো হবে। কিন্তু কোন তিনটি সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে কখওনই বলা হয়নি। তবে বলা হয়েছিল সিরিজের পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে হেডিংলে টেস্ট হেরে গিয়ে ব্যকফুটে টিম ইন্ডিয়া। এরপর ২ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এজবাস্টন টেস্ট। তবে এর মাঝে সোমবার ভারতীয় দলের সহকারী কোচ রায়ান টেন দশখাতে জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে পাওয়া যাবে বুমরাহকে।
বুমরাহ–কে খেলানো র কথা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ভারতীয় শিবিরে। দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর খেলার নিশ্চয়তা ছিল না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়ার কথা তাঁকে। তবে সোমবার গৌতম গম্ভীরের সহকারী রায়ান টেন ডশকাটে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় টেস্টে শুভমানরা পাবেন বুমরাহকে।
প্রসঙ্গত, হেডিংলে টেস্টে ৪৩.৪ ওভার বল করতে হয় বুমরাহকে। ফলে দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে গেলেও শুক্রবার বোলিং করেননি নেটে। ফলে তাঁর খেলা ঘিরে জল্পনা আরও তীব্র হয়। সোমবার দশখাতে জানান, ‘ আমরা সকলেই জানতাম পাঁচটি টেস্টের তিনটি খেলবে ও। তবে প্রথম টেস্টের পর আট দিন এই বিশ্রাম পাওয়ায় সমস্যা হবে না। দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবে বুমরাহ। তবে আমাদের এটাও দেখতে হবে, ওর উপর যাতে কোনওভাবেই অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমাদের আরও চারটি টেস্ট রয়েছে। দেখা যাক কতগুলোয় বুমরাকে পাওয়া যায়।’ এদিকে, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম একাদশে নীতীশ কুমার রেড্ডি থাকতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন দশখাতে।
বুমরাহকে নিয়ে ভারতীয় শিবিরে স্বস্তি ফিরলেও ফিল্ডিং নিয়ে অস্বস্তি কাটছেই না। সোমবারের অনুশীলনে বিভিন্ন রকম ক্যাচ ধরার অনুশীলনের উপর আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ বেশ কিছুক্ষণ অনুশীলন করান গোটা দলকে। স্লিপে ক্যাচ ধরার অনুশীলনও হয়। যশস্বী জয়েসওয়ালকে সেই অনুশীলনে দেখা যায়নি। অধিনায়ক শুভমান ছাড়াও স্লিপে ছিলেন লোকেশ রাহুল এবং করুণ নায়ার। কালো কাপড় ব্যবহার করে বিশেষ ধরনের অনুশীলনও করান দিলীপ।