টাস্ক ফোর্সের তরফে আলু-পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেওয়ার ঘটনায় হতবাক ক্রেতারা

মাসখানেক ধরে আলুর দামে ছ্যাঁকা লাগছে ক্রেতাদের হাতে। বাজারে গেলেই প্রায় পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে এই আলু-পেঁয়াজ কিনতেই। পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে শাক-সব্জির সঙ্গে মাংসেরও। এই দাম বৃদ্ধির ঘটনায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও। বলেছিলেন, অবিলম্বে দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তাই নিতে হবে। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত বাজারে বাজারে ঘুরছে টাস্ক ফোর্স। সোমবার টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা বাজারে গিয়ে জানিয়ে দিল, আলু ও পেঁয়াজের দাম ঠিক কত। ফলে, বাজারে ক্রেতার কাছ থেকে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটা এবার স্পষ্ট হয়ে যাবে।

সোমবার সকালে কলকাতার একাধিক বাজারে ফের হানা দিয়েছিল টাস্ক ফোর্স। যাঁরা দাম বেশি নিচ্ছেন, সেই সব ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ীদের ধমক দিতেও দেখা গেল প্রতিনিধিদের। একদিকে যেমন আলুর দাম কমছে বলে জানানো হয়েছে, সেইসঙ্গে পেঁয়াজের বর্ধিত মূল্যেও সিলমোহর দিয়েছে টাস্ক ফোর্স।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, গত ২ মাস ধরে পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝে চোখে জল আসাছে সাধারণ ক্রেতাদের। কলকাতার বাজারগুলোতে ৫০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে টাস্ক ফোর্স বলছে, পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকাই ঠিক। যে পেঁয়াজ দুমাস আগেও ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল সেটা এক লাফে বেড়ে ৪৫ টাকা হয়ে গিয়েছে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে যাওয়াটা নাকি স্বাভাবিক। এমনই বলছেন টাক্স ফোর্সের প্রতিনিধি রবীন্দ্রনাথ কোলে।

সাধারণ মানুষ বারবার অভিযোগ করেছেন বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য টাস্ক ফোর্সের নজরদারি বা সরকারি নজরদারি প্রয়োজন। সেখানে বাজারে নজরদারি করে দাম কমানোর পরিবর্তে বর্ধিত দামে কেন সিলমোহর দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। টাক্স ফোর্সের এই ধরনের হতবাক সাধারণ ক্রেতারা।

পেঁয়াজের খুচরো ব্যবসায়ীদের বক্তব্য পাইকারি বাজার থেকে তাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে পেঁয়াজ। পরিবহন খরচ রয়েছে, পাশাপাশি পচা পেঁয়াজ বাদ দিতে হচ্ছে। অল্প লাভ রেখেই বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। সাধারণ ক্রেতারা মনে করছেন পেঁয়াজের দাম ৪৫ হওয়া ঠিক নয়, দু’মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম এভাবে একলাফে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে যাওয়াটা কোনওভাবেই স্বাভাবিক নয়।

অন্যদিকে কলকাতার বাজারগুলোতে জ্যোতি আলু ৩০ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে আলুর দাম ৩০ টাকা বেঁধে দিচ্ছে টাস্ক ফোর্স। তাদের দাবি, যারা বেশি দামে আলু বিক্রি করছে তাদের ৩০ টাকা কেজি দরেই আলু বিক্রির কথা বলা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, সোমবার থেকে বাজারে অনেক আলু ঢুকেছে, ফলে আর দাম বেশি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। টাস্ক ফোর্স আলুর দাম বেঁধে দিলেও মঙ্গলবার থেকে আলু কী দামে বিক্রি হয়, সরকারি নির্দেশ মানা হয় কি না এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 5 =