একে কাজের দিন। তার উপর পুজোর কেনাকাটার ভিড়। এরই মধ্যে আদিবাসী সংগঠনের মিছিলের জেরে শুক্রবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হাওড়া ব্রিজ। এরপর আন্দোলনকারীরা এগোতে থাকেন ধর্মতলার উদ্দেশে। কারণ, রানি রাসমণি রোডে ছিল তাঁদের সভা।
সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই হাওড়া সেতুতে শুরু হয় অবরোধ। এরপর এই অবরোধ আর মিছিলে দাবি তোলা হয়, কুড়মি-মাহাতরা চাইছেন জোর করে তফশিলি জনজাতির তকমা পেতে। এই দাবিতেই শুক্রবার পথে নামেন ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্স’। আদিবাসী সংগঠনের দাবি, তাদের ছাড়া অন্য কাউকে ‘সিডিউল ট্রাইব’-এর মর্যাদা দেওয়া চলবে না। অফিস টাইমে এহেন অবরোধের জেরে কার্যত ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এদিকে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, শহরের জায়গায় জায়গায় ট্র্যাফিক মোতায়েন থাকলেও তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। কাউকে একই জায়গায় গাড়িতে বসে থাকতে হয় ১ ঘণ্টা ধরে। এদিকে বাসেরও নড়চড় করার কোনও লক্ষণ ছিল না। ফলে কেউ হেঁটে হেঁটেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কর্মস্থলের দিকে। শুক্রবার সকাল থেকে এমনই ছবি ধরা পড়ে হাওড়া স্টেশন থেকে শুরু করে ধর্মতলা চত্বর পর্যন্ত। গাড়িতে অপেক্ষা করতে করতে কেউ ঘুমিয়ে পড়েছেন, এমন দৃশ্যও নজরে আসে। একই সমস্যায় পড়েন স্কুল পড়ুয়ারাও।গরম এবং অসহনীয় আর্দ্রতায় ক্লান্ত হয়ে পড়ে স্কুল পড়ুয়ারাও।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, মিছিলের কথা আগে থেকে জানা সত্ত্বেও কোনও প্রস্তুতি নেয়নি প্রশাসন। সে কারণেই এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। বেলা সাড়ে ১২ টার পর পরিস্থিতি একটু একটু করে উন্নত হতে থাকে। যান চলাচল শুরু হলেও তার গতি খুবই ধীর।
এদিকে কলকাতায় এই মুহূর্তে পুজোর শপিং চলছে জোরকদমে। শহর, শহরতলি বা গ্রামগঞ্জ থেকেও বহু মানুষ আসছেন কেনাকাটা করতে। ফলে বড়বাজার সংলগ্ন অঞ্চলে ভিড়ও বাড়ছে। কিন্তু এদিনের ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্স’-এর কর্মসূচির জেরে সব মিলিয়ে ভোগান্তির শেষ ছিল না কলকাতায় এদিন যাঁরা পা রেখেছিলেন তাঁদের।