সপ্তম ভোটদফা শুরু হওয়ার আগে কলকাতা নানা জায়গায় নাকা চেকিং করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্বাচন কমিশনের অফিসার ও কলকাতা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে। সপ্তম দফায় বাংলার নয় আসনে ভোট রয়েছে। তালিকায় আছে কলকাতাও। । চলছে নাকা তল্লাশি। বিশেষ করে শহর কলকাতার বিভিন্ন এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্টগুলিতে চলছে এই নাকা চেকিং। নজরদারিতে কোথাও কোনও খামতি রাখা হয়নি। রাস্তা দিয়ে যেসব গাড়িগুলি যাতায়াত করছে, সেগুলিকে থামিয়ে গাড়ি চালকদের পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখা হয়। গাড়ির যাত্রীরা কোথা থেকে আসছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কী উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন, সেই সংক্রান্ত বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করেন আধিকারিকেরা। পাশাপাশি গাড়ির ভিতরে কী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সে সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিকি খুলে পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হচ্ছে, কোথাও অবৈধ কিছু রয়েছে কি না। তল্লাশি করা হচ্ছে ব্যাগ-পত্রও। গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয় কমিশনের তরফে। অন্যদিকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির নম্বর, চালকের ফোন নম্বরও নিয়ে রাখা হয়।
নির্বাচন কমিশনের তরফে নাকা চেকিংয়ের দায়িত্ব থাকা আধিতকাকরিকেরা জানান, জানান, ভোটদান ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয়ের উপর নজর রাখতে হয় কমিশনকে। বিশেষ করে কোথাও অনিয়মিত নগদ টাকার লেনদেন বা মদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হয়। ভোট পর্ব শুরু হয়ে গেলে, ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ নিয়ে যাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে নথিপত্র দেখাতে হয়। মূলত সেই বিষয়গুলিকেই খতিয়ে দেখা হয়।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে রয়েছে ১০২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সপ্তম দফায় মোট বুথের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৭০ টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৪৮ টি টি বুথ স্পর্শকাতর। তার মধ্যে সপ্তম তথা শেষ দফা নির্বাচনে ৯ টি লোকসভা আসনের নিরাপত্তায় মোতায়ন থাকবে ৯৬৭কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি কোম্পানি থাকবে স্ট্রং রুমে নিরাপত্তায় এবং বাকি জেলায়। ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে প্রথম থেকে ষষ্ঠ দফার পোস্ট পোলের জন্য। ১৮ কোম্পানি থাকবে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার জন্য। মোট ১৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকছে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তায়। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকছে স্ট্রং রুমের বাইরে। স্ট্রং রুমের বাইরে মোতায়েন থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, সশস্ত্র পুলিশ ও লাঠিধারী পুলিশ।