রাস উৎসব নিয়ে নবদ্বীপের আইসির সতর্কবার্তার একাংশ খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে

২৭ নভেম্বর নবদ্বীপে রাস উৎসব। আর এই রাস উৎসবের শোভাযাত্রায় কোনও মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করা যাবে না। এমন সতর্কবার্তা লেখা লিফলেট বিলি করেছিলেন স্থানীয় থানার আইসি। সেই সতর্কতা খারিজ শুক্রবার খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ দেন, শব্দবিধি মেনে নবদ্বীপের রাস উৎসবে মিউজিক সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে।

এদিকে নবদ্বীপ থানার আইসির তরফে প্রচার করা সতর্কবার্তায় আরও জানানো হয়েছিল, প্রতি পুজোর থেকে তিন থেকে পাঁচ জন করে শোভাযাত্রায় যোগ দিতে পারবেন। তবে পুলিশের এই সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাকারীর দাবি, থানার তরফে প্রচারিত বিভিন্ন সতর্কবার্তা নিয়ে নবদ্বীপের সাধারণ ভক্তদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ রয়েছে। কারণ, নবদ্বীপের রাস উৎসবের জনপ্রিয়তা গোটা দেশজুড়ে। নদিয়া জেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে রাস উৎসবে অংশ নিতে মানুষ ভিড় করেন নবদ্বীপে। কিন্তু এই রাসে শব্দদানবের তাণ্ডব নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন শান্তিপুরের পরিবেশপ্রেমীরা। রাসের শোভাযাত্রায় মিউজিক সিস্টেম, ডিজে বক্সের তীব্র আওয়াজে সমস্যার মুখে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। শব্দদানবের তাণ্ডব রোধে সেই কারণে এবার নবদ্বীপ থানার তরফে আগাম সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়। সেই নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ ছিল। মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।

প্রসঙ্গত, নদিয়ার রাস উৎসবের পিছনে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাসও। বৈষ্ণব ধর্মের রমরমা মধ্যে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ছিলেন শক্তির উপাসক। তিনি নবদ্বীপে শাক্ত রাস উৎসবের প্রচলন করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাতে সাধারণের অংশগ্রহণের সংখ্যা দারুণভাবে বৃদ্ধি পায়। ক্রমেই রাস উৎসব সার্বজনীন রূপ ধারণ করে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − nine =