নবগ্রামে যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি আদালতের

মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে পুলিশ লক আপে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগে জরুরি ভিত্তিতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জরুরি ভিত্তিতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। সোমবার এই মামলার শুনানি।

নবগ্রামে পুলিশ লক আপে গোবিন্দ নামে এক যুবকের গলায় বেল্টের ফাঁস লাগিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নবগ্রাম থানার ওসি অমিতকুমার ভকত ও সাব ইন্সপেক্টর শ্যামল মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মানসিক অত্যাচার, মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে নবগ্রামে পুলিশ লকআপে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়টিও উল্লেখ করেন অধীর চৌধুরী।

এদিকে সূত্রে খবর, স্থানীয় সেনা বাহিনীর ব্যারাকে ঠিকা কর্মী হিসাবে কাজ করতেন গোবিন্দ। জুলাইয়ের শেষে তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতে চুরি হয়। সেই ঘটনায় সন্দেহের বশে ২ অগাস্ট পুলিশ গোবিন্দকে তুলে নিয়ে যায়। কোনও এফআইআর ছাড়া তাঁকে নিয়ে যাওয়া এবং গ্রেফতার না দেখানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পরের দিন বাড়ির লোক কারণ জানতে গেলে পুলিশ চুরির সন্দেহে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা জানায়। পর পর দুদিন গিয়ে পরিবারের লোক জানতে পারে তাকে ওই চুরিতে যুক্ত থাকার কথা পুলিশ জোর করে তাঁকে দিয়ে বলাতে মারধর করছে। ৪ অগাস্ট তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির কথা জানতে পেরে সেখানে গিয়ে জানেন গোবিন্দের মৃত্যু হয়েছে।

ময়না তদন্তের রিপোর্টে গলায় কিছুর ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর কথা উল্লেখ ছিল। পুলিশের দাবি, থানার ভিতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। যদিও বাড়ির লোকের অভিযোগ, পুলিশের নৃশংস মারধরের পর গলায় বেল্ট বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত এসআই শ্যামল মণ্ডল জানান, তিনি এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না। আর যে প্রতিবেশীর বাড়িতে চুরির অভিযোগে এত বড় কাণ্ড, সেই প্রবাল ঘোষ,তাঁর বাবা, কলকাতা পুলিশের এএসআই প্রদীপ ঘোষেরও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 7 =